Gopsai Avinandan Sangha

শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে, সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছে মেদিনীপুরের এই প্রতিষ্ঠান

শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে চন্দ্রকোনা টাউনে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ’।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৫ ২২:৩১
Share:

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দরবারে অবিভক্ত মেদিনীপুর সর্বদাই মেধার লালন ক্ষেত্র বলে পরিচিত। তা সত্ত্বেও, মেদিনীপুরের পশ্চিমপ্রান্ত অশিক্ষা ও সামাজিক অবহেলার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল বহুবছর। সেই অন্ধকার কাটলো ২০০৩ সালে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল এলাকায় মৌলিক সুবিধারত মানুষদের জীবনের অন্ধকার দূর করে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে চন্দ্রকোনা টাউনে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ’।

কর্মমুখী শিক্ষাই একমাত্র ত্বরিত পরিবর্তন আনতে পারে জীবনযাত্রার মানে এবং অর্থনৈতিক অবস্থাতেও। এই ভাবনা থেকে ২০০৫ সালে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন্স’। এই প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন দশটি কলেজে পড়ানো হয়, ‘ডি.এল.এড’, ‘বি.এড’, ‘এম.এড’, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘ম্যানেজমেন্ট’, ‘ফার্মেসী’, ‘প্যারামেডিকেল’, ‘নার্সিং’।

ষাট একরের বিস্তীর্ণ সবুজে ঘেরা পরিসরে ছড়িয়ে আছে আটটি কলেজ। দুটি ‘বি.এড’ কলেজ রয়েছে মেদিনীপুর এবং চন্দ্রকোনা রোডে। এখানে রয়েছে বিস্তৃত খেলারমাঠ সঙ্গে প্রতিটি কলেজের প্রতিটি বিভাগে রয়েছে অত্যাধুনিক গবেষণাগার ও কর্মশালা। এখানকার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত গর্বের এবং একান্ত ভরসার। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যেহেতু বেশি তাই প্রথাগত সিলেবাসের সমস্ত বই নিয়ে তাদের জন্য তৈরী হয়েছে ‘বুক-ব্যাংক’। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রেফারেন্স বই সহ চারশো বর্গফুট নিয়ে বিশাল নিরিবিলি পড়ার ঘর। সম্পূর্ণ ডিজিটাল এই লাইব্রেরিতে আন্তর্জাতিক অনলাইন লাইব্রেরির মেম্বারশিপ এবং জার্নালও উপলব্ধ। এ ছাড়াও সমস্ত কোর্সের ‘ল্যাব-ম্যানুয়াল’, ‘ক্লাস-নোটস’, পুরানো প্রশ্নপত্র এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ওয়েবসাইটে।

যাঁদের কথা না বললে কিছুই বলা হয় না তাঁরা হলেন এই ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ’ প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত জ্ঞানান্বেষনে বিশ্বায়নের দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত নিজেদের জ্ঞানের সীমানা প্রসারিত করে, শিক্ষার্থীদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করে তুলছে। এই জ্ঞানার্জনের বিষয়টি সত্যিই আন্তরিক প্রশংসার দাবি রাখে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের প্লেসমেন্ট বিভাগ। যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ‘সফ্ট-স্কিল’ শিক্ষণের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুত করে, কর্মজীবনে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই বিভাগের অবদান অনস্বীকার্য।

পাশাপাশি যাঁর কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন্স’-এর প্রতিষ্ঠিতা ও কর্ণধার প্রভাস ঘোষ। যাঁর অদম্যচেষ্টা পথ দেখিয়েছে অজস্র অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা ও সামাজিক সুবিধা বঞ্চিত পরিবারকে। যাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রথম প্রজন্ম কর্মমুখী শিক্ষার হাত ধরেছে, তারই চিন্তা ও বিরামহীন পরিশ্রমের ফল হিসেবে। শুধু শিক্ষার্থীদের জীবনে উন্নতি হয়েছে তা-ই নয়, অতীতের এক অজানা গ্রাম আজ আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে নগরের রূপ ধারণ করেছে। পাকারাস্তা, রাজ্যসড়ক, ছাত্রাবাস, অতিথি নিবাস ও আধুনিক শপিং মলের কম নানান নগরায়নের ছোঁয়ায় চন্দ্রকোনা টাউন দক্ষিণবঙ্গের আজ এক পরিচিত নাম। তবুও আজ এই সংস্থার আওতাধীন সব কলেজের কোর্স ফি একেবারেই নিম্নবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই। পাশাপাশি এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ তো আছেই। তাই নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে আজই ভর্তি হন ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন্স’-এ।

বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: www.gasonline.org.in অথবা যোগাযোগ করুন এই নম্বরে: 9083265511 / 21 / 22

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘গোপসাই অভিনন্দন সংঘ’র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন