OmDayal Group of Institutions

পরিবর্তনশীল বিশ্বে শিক্ষার্থীদের সফল ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে স্থাপত্যবিদ্যা

‘স্থাপত্যবিদ্যা’ হল এমন একটি ক্ষেত্র, যা শিল্প ও বিজ্ঞান এই দু’য়ের সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের কাঠামো নির্মাণ এবং নকশার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১১:৩৫
Share:

‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস্’-এর শিক্ষার্থীরা।

দ্রুত পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে প্রযুক্তি, ব্যবসা এবং সমাজের সব ক্ষেত্রেই আসছে নতুন চ্যালেঞ্জ আর সম্ভাবনা। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে দরকার এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা, যা আধুনিক, বাস্তবজ্ঞানভিত্তিক ও দক্ষতা তৈরিতে সহায়ক। তাই ‘স্থাপত্যবিদ্যা’ হল এমন একটি ক্ষেত্র, যা শিল্প ও বিজ্ঞান এই দু’য়ের সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের কাঠামো নির্মাণ এবং নকশার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস্’

তবে, তা শুধু কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, বরং সেই কাঠামোর কার্যকারিতা, স্থায়িত্ব, পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার পাশাপাশি সামাজিক প্রেক্ষাপটেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই একজন স্থাপত্যশিল্পীর প্রাথমিক কাজ হল মানুষের চাহিদা বুঝে নান্দনিকতা, দক্ষতা এবং নিরাপত্তাকে বজায় রেখে নির্মীয়মাণ বস্তুটিকে বাস্তব রূপ দেওয়া। তাই পেশাদার স্থাপত্যশিল্পী হতে গেলে ‘ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার’ (B.Arch) ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন নকশার সৃজনশীলতা, কারিগরি জ্ঞান এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে প্রশিক্ষণ লাভ করে।

আধুনিক সময়ে স্থাপত্যশিক্ষা এক বিশাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগে শিক্ষার মূল কেন্দ্র ছিল চিত্রশালা বা ‘ডিজ়াইন স্টুডিয়ো’, এখন সেই শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ছে বাস্তব পরিবেশে। আগেকার মতো শুধুই নকশা ও উপস্থাপনার দক্ষতাই যথেষ্ট নয়, এখন শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক ন্যায্যতা এবং শহুরে স্থিতিশীলতার মতো বৈশ্বিক সমস্যারও সমাধান দিতেও প্রস্তুত থাকতে হয়।

বর্তমান সময়ে নতুন স্থাপত্যবিদ্যার পাঠ্যক্রমে যোগ হয়েছে—

বাস্তবিক নির্মাণের অভিজ্ঞতা:

  • ‘বিআইএম’ এবং ‘ভিআর’-এর মতো আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি
  • স্থানীয় শিল্প ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে উন্নত পার্টনারশিপ

স্থাপত্যশিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি:

স্থাপত্যবিদ্যা শুধু ভবন নির্মাণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক বিস্তৃত ও ক্রমবিকাশমান কর্মক্ষেত্রও। ‘বি. আর্ক’ ডিগ্রি অর্জনের পর একজন স্থপতিবিদ্যার শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের পেশায় যুক্ত হয়ে নিজের কেরিয়ার গড়তে পারেন।

স্থাপত্যশিল্পের প্রচলিত পেশা:

  • রেজিস্টার্ড আর্কিটেক্ট
  • শহর বা নগর পরিকল্পনাকারী
  • ইন্টেরিয়র ডিজ়াইনার
  • ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্ট
  • প্রজেক্ট ম্যানেজার

স্থাপত্যশিল্পের বিশেষ পেশাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • গ্রিন আর্কিটেক্ট
  • ডিজিটাল / কম্পিউটেশনাল ডিজ়াইনার
  • আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজ়েশন আর্টিস্ট
  • সিনেমা সেট বা প্রদর্শনী ডিজ়াইনার
  • ঐতিহ্য সংরক্ষণকারী বিশেষজ্ঞ
  • ফাসাড ডিজ়াইনার
  • ফ্যাশন ডিজ়াইনার

‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস্’: স্থাপত্যবিদ্যার এক গঠনমূলক যাত্রা

হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় একটি সুপরিকল্পিত ক্যাম্পাসে ‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস্’-এর স্থাপত্য বিভাগ অবস্থিত। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আছেন অভিজ্ঞ ও যোগ্য শিক্ষকমন্ডলী, যারা আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে প্রযুক্তি, নান্দনিকতা এবং সফটওয়্যারের দক্ষতা অর্জনেও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেন।

পাঁচ বছরের ‘বি.আর্ক’ এবং ২ বছরের ‘এম.আর্ক’ পাঠ্যক্রম সহ এই প্রতিষ্ঠানটি ‘কাউন্সিল অফ আর্কিটেকচার’ দ্বারা অনুমোদিত, ‘ন্যাক’ স্বীকৃত এবং ‘ম্যাকাউট’-এর সঙ্গে সংযুক্ত। পাশাপাশি এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আলাদা ছাত্রাবাস, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে চলাচলের জন্য বাস পরিষেবা, সাধ্যের মধ্যে খরচ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ সুবিধা সহ একাধিক ব্যবস্থা।

এই প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হওয়া বহু শিক্ষার্থী সফলভাবে বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। অনেকেই আবার দেশ ও বিদেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগও পেয়েছেন।

স্থাপত্যশিক্ষার ভবিষ্যৎ আজ চিত্রশালার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তবতায় পৌঁছে গেছে। আর সেই পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে ‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস্’-এর মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।

বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://omdayal.com/

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস্’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন