শ’ পাবলিক স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা
নম্বর নয়, এখন শিক্ষার আসল মাপকাঠি হল বাস্তবজ্ঞান ও সৃজনশীলতা। আজকের যুগে শুধু বই মুখস্থ করলেই চলবে না—যে শিক্ষার্থী তার শেখা বিষয়গুলিকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে, নতুন চিন্তাধারায় নিজস্বতা আনতে পারে, সাফল্যের আসল চাবিকাঠি তার হাতেই। এই রূপান্তরের পথে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে স্কুলের ভূমিকা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শ’ পাবলিক স্কুল, আজকের পরিবর্তিত শিক্ষা ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সার্বিক ও বহুমুখী বিকাশে এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও সনাতন শিক্ষার পদ্ধতির এক চমৎকার মেলবন্ধন ঘটেছে তাদের প্রতিদিনের পাঠদান পদ্ধতিতে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ইন্টারনেট-সক্ষম স্মার্ট বোর্ড ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি আরও বিস্তৃত হয়েছে।
শ’ পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা
জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী অনুমোদিত নতুন শিক্ষাদান পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষিকারা দায়িত্বশীলভাবে শিক্ষার্থীদের মনে কৌতূহল জাগিয়ে তুলছেন এবং সঠিক উত্তরের সন্ধানে তাদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন পাঠ্যক্রমে যুক্ত হয়েছে রোবোটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো যুগোপযোগী বিষয়গুলিও। এরই ফলস্বরূপ, আন্তঃ বিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট এবং তার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগযোগ্য উদ্ভাবন সকলের প্রশংসা পেয়েছে।
শুধু পাঠ্য নয়, বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি, এখানকার টডলার ক্লাসের ছোট্ট শিক্ষার্থীরা টিফিন খাওয়ার মতো মজার অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে নিজে হাতে খেতে শিখছে। এ ছাড়াও, হাত ধোওয়া কিংবা সুষম খাবার চেনার মতো ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়েই তারা রোজ নিজেদের গড়ে তুলছে।
এই রকম ছোটখাটো অভ্যেস ছাড়াও শ’ পাবলিক স্কুলে ‘Bagless Day’ এসে গেছে নতুন চমক নিয়ে—পাঠ্যবইয়ের বদলে হাতে ধরা রান্নার সরঞ্জাম, সূঁচ-সুতো। বড়দের পাশাপাশি ছোটোরাও সহজ পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার বানাতে শিখছে।
সপ্তাহে এক দিন বরাদ্দ বাস্তব জীবনের ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীরা শেখে অর্থনীতির সহজ সূত্র, খরচ বাঁচানোর কৌশল আর দৈনন্দিন জীবনের হিসেব নিকাশের খেলা। তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, বিতর্ক, নাচ-গান, সাহিত্য সভা, সমাজসেবার মাধ্যমে দেওয়া হয় জীবন গঠনের পাঠ। শ’ পাবলিক স্কুলের চার দেয়ালের মধ্যে পাঠ্যবই ছাড়াও, জীবনের পাঠ নিয়েই তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতের আত্মবিশ্বাসী ও সচেতন নাগরিক।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি শ’ পাবলিক স্কুল—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।