Currency

১০, ২০ টাকার নোট নিয়ে দুর্ভোগ বাড়ছে, চিঠি গেল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে

মুদ্রা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টি রবি শঙ্করকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এটিএম থেকে ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট পাওয়া যায়। তা নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ১০, ২০ কিংবা ৫০-এর নোট প্রায় মেলে না।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে খুচরো নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা সমস্যায় পড়ছেন বহু দিন ধরেই। অভিযোগ, ১০, ২০ এবং ৫০ টাকার নোট পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলি হাতে আসছে, তার বেশির ভাগেরই অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। লেনদেনের অযোগ্য। এ বার বিষয়টি নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি দিল সেখানকার কর্মী সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশন’।

মুদ্রা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টি রবি শঙ্করকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, এটিএম থেকে ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট পাওয়া যায়। তা নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ১০, ২০ কিংবা ৫০-এর নোট প্রায় মেলে না। ফলে সেগুলি বাজারে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এই নিয়ে আরবিআই অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়বে। একাংশের মতে, দেশে ডিজিটাল লেনদেন বেড়ে যাওয়া এই সমস্যার অন্যতম কারণ। সংগঠনের দাবি, এখনও বহু মানুষ কাগজের নোট দিয়ে প্রতি দিন নগদে লেনদেন করেন। তাঁদের জন্যই ছোট অঙ্কের নোটের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।

সংগঠনের দাবি, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অবিলম্বে ছোট অঙ্কের নোট, কয়েনের সংখ্যা বাড়াক। শহর ও গ্রামে পঞ্চায়েত,সমবায়, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আবার চালু করুক ‘কয়েন মেলা’। তাদের সাধারণ সম্পাদক সমীর ঘোষ জানান, মানুষ প্রতি দিনই ঝামেলায় পড়ছেন। তাই এই চিঠি। এতে যদি আরবিআই নড়েচড়ে বসে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের ইউনিয়ন বিপিবিইএ-এর সাধারণ সম্পাদক রাজেন নাগরের দাবি, ‘‘১০ ও ২০-র নোট কমেছে। মানও খারাপ হয়েছে। বদলে যে কয়েন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে ঝামেলা বাড়ছে। তাই ভাল নোটের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।’’

নোটে নাকাল

বহু জায়গাতেই বাজার থেকে প্রায় উধাও ১০, ২০ ও ৫০ টাকার নোট। মূলত আধাশহর ও গ্রামে।

মানুষ হয়রান হচ্ছেন। ধাক্কা খাচ্ছে ছোট ব্যবসা।

নগদে লেনদেন চালানো কঠিন হচ্ছে। বেশি ভুগতে হচ্ছে স্থানীয় যানবাহনে চলাচল, মুদি দোকানে দাম মেটানো এবং অন্যান্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে।

দাবি

দেশে ডিজিটাল লেনদেন বাড়লেও সার্বিক ভাবে মুদ্রায় লেনদেনও বেড়েছে।

এখনও বড় অংশ নগদ লেনদেন করেন। ফলে ছোট নোট অপরিহার্য। ডিজিটাল ব্যবস্থা সেই অভাব পূরণে অক্ষম।

নোটের বদলে কয়েন এনেও লাভ হয়নি।

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করুক। ছোট নোট এবং কয়েনের সংখ্যা বাড়াক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন