আরাত্রিকা মাইতি-আর্য দাশগুপ্তের মধ্যে কিছুই কি ছিল? ছবি: ফেসবুক।
মধ্যরাতে চলন্ত বাসে জন্মদিনের কেক কাটা। পরের দিন মন্দারমণির সমুদ্রতটে উদ্যাপনের আয়োজন! আনন্দে মেঘমুলুকে আরাত্রিকা মাইতি। এ দিকে, অনুরাগীরা হঠাৎই তাঁর ‘অতীত’ নিয়ে কাটাছেঁড়ায় ব্যস্ত!
অভিনেতা আর্য দাশগুপ্তের সঙ্গে নাকি প্রেমে জড়িয়েছিলেন ধারাবাহিক ‘জোয়ারভাটা’র অভিনেত্রী। এমনই গুঞ্জন টেলিপাড়ায়। সেই প্রেম নাকি খানখান! যার জেরে জন্মদিনের আনন্দ ছাপিয়ে ‘কাঁটা’র মতো বিঁধছে সম্পর্কের রটনা। শোনা যাচ্ছে, বিচ্ছেদের কারণেই নাকি জন্মদিনে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাননি আর্য। সমাজমাধ্যমেও নাকি দু’জনে তাঁদের সমস্ত ছবি সরিয়ে নিয়েছেন। অনুসরণ করছেন না একে অন্যকে।
সত্যিই কি এরকম কিছু ঘটেছে? জানতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল আরাত্রিকার সঙ্গে। তাঁর সাফ জবাব, “কারও সঙ্গেই কোনও দিন কিছুই ছিল না। এখনও তা-ই। অভিনয়, কেরিয়ারের বাইরে কিচ্ছু ভাবছি না। পায়ের নীচের মাটি শক্ত করাটাই একমাত্র লক্ষ্য। তার আগে প্রেম, সম্পর্ক, বিয়ে, বিচ্ছেদ— এ সব নিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই।”
বদলে তিনি উচ্ছ্বসিত তাঁর জন্মদিনের উদ্যাপন নিয়ে। জানিয়েছেন, প্রথম এ ভাবে জন্মদিন পালন হল। রাতের রাস্তায় চলন্ত বাসে কেক কাটা। পরের দিন সমুদ্রতটে মাছ-মাংস, আমিষ-নিরামিষ খাবারের ঢালাও আয়োজন। বিনোদনদুনিয়ায় এসেছিলেন বলেই এত কিছু পেলেন। তাই এই দুনিয়ার বাইরে কাউকে নিয়ে, কিচ্ছু নিয়ে ভাবতে রাজি নন।
বড়দিনে আরাত্রিকা বড়পর্দায় পা রাখবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবি দিয়ে। এই ছবিতে তিনি ‘লক্ষ্মীপ্রিয়া’।
আরাত্রিকা ‘প্রেম’ অস্বীকার করেছেন। প্রায় একই কথা আর্যেরও। তিনি বলেছেন, “বরাবরই ভাল বন্ধু ছিলাম। কাজের চাপে আমাদের কথা হয় না। আমিও বুঝেছি, পেশাজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই যে কোনও অভিনেতার লক্ষ্য হওয়া উচিত।” কিন্তু কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নাকি তাঁর মন ভেঙেছেন! প্রশ্নও তুলেছেন, কেন তাঁর পাশে নেই আরাত্রিকা! তিনি তো অনৈতিক কিছুই করেননি।