নজর ভোট, বর্ষার পূর্বাভাস, আর্থিক ফলে

বাজার সেই উঁচুই, তবু বিঁধছে অস্বস্তি 

টানা আট দিন উঠে সেনসেক্স ফের ৩৮ হাজারের ঘরে। অপেক্ষা কবে নতুন শিখরে পা পড়ে তার।

Advertisement

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৬
Share:

টানা আট দিন উঠে সেনসেক্স ফের ৩৮ হাজারের ঘরে। অপেক্ষা কবে নতুন শিখরে পা পড়ে তার। অনেকেরই ধারণা, লোকসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে কোনও দল দিল্লির তখ্‌তে বসলে সূচক ৪০ হাজারও ছুঁয়ে ফেলতে পারে। তবে বাজার যত উঁচুতেই থাক, মন থেকে অস্বস্তির কাঁটাটাকে উপড়ে ফেলা যাচ্ছে না। কারণ এই উত্থান মূলত বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা বিনিয়োগের ফল। যারা ধরেই নিয়েছে, ভারতে স্থিতিশীল সরকার তৈরি শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফলে প্রশ্ন জাগছে, এই সব সংস্থা যদি আচমকা বিনিয়োগ তুলে নেয়, তখন? বিশেষত দেশীয় অর্থনীতির পরিস্থিতি যেখানে তেমন অনুকূল নয়। শিল্পোৎপাদন, পরিকাঠামোয় বৃদ্ধি কমেছে। মাথা তুলেছে মূল্যবৃদ্ধি। চলতি অর্থবর্ষের বৃদ্ধিকেও কেউ ৭ শতাংশের উপরে দেখানোর সাহস পাচ্ছে না পূর্বাভাসগুলিতে। খোদ সরকারও।

Advertisement

ভোট তো আছেই। আগামী দিনে সূচকের চোখ থাকবে আরও দু’টি প্রধান বিষয়ে। বর্ষার পূর্বাভাস ও বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক ফল। ছোট লগ্নিকারীদের নজর থাকবে এপ্রিলে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির সুদে কোনও পরিবর্তন হয় কি না, তার উপরেও।

শুক্রবার সেনসেক্স পড়েছিল ২২২ পয়েন্ট। প্রধানত উঁচু বাজারে শেয়ার বেচে লাভ ঘরে তুলতে শেয়ার বিক্রির তাগিদেই। বিদেশি লগ্নিকারীরা ঝুলি উপুড় করায় বাড়ছে ডলারে টাকার দামও। ৭০ টাকার নীচে নেমেছে ডলার। ফলে একটু সস্তা হয়েছে সোনা। ১০ বছরের সরকারি ঋণপত্রের ইল্ড ৭.৫০ শতাংশের আশেপাশে।

Advertisement

সুখের খবর, চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য ছুঁয়েছে কেন্দ্র। এই সূত্রে আয় ধরা হয়েছিল ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে হয়েছে ৮৫ হাজার কোটি। আশা, এতে কমবে রাজকোষে ঘাটতি।

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন