Business News

দেশের পাঁচ বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী

ছ’টি বিমানবন্দরের জন্য সব মিলিয়ে ১০টি সংস্থার ৩২টি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে আমদাবাদ ও জয়পুরে সাতটি করে, লখনউ ও গুয়াহাটির জন্য ছ’টি করে এবং ম্যাঙ্গালুরু ও তিরুঅনন্তপুরমের জন্য টেন্ডার জমা পড়ে তিনটি করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১০
Share:

পাঁচটি বিমানবন্দরের রক্ষনাবেক্ষণের ভার পাচ্ছে আদানি গ্রুপ।

মোদী ঘনিষ্ঠ বলে বিরোধীরা যতই অভিযোগ তুলুন, ব্যবসা বাড়িয়েই চলেছে আদানি গোষ্ঠী। এ বার বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের প্রথম ধাপেই জয় পেল আদানি গোষ্ঠী। দেশের পাঁচটি বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের ভার পেল গৌতম আদানির সংস্থা। সোমবার টেন্ডার খোলার পর ‘হাইয়েস্ট বিডার’ হিসেবে পাঁচটি বিমাবন্দরেরই রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবার দায়িত্ব পাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই) সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। এএআই-এর এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, পদ্ধতিগত বিষয়গুলি দ্রুত শেষ করে শীঘ্রই বিমাবন্দরগুলির ভার ছেড়ে দেওয়া হবে আদানি গোষ্ঠীকে।

Advertisement

গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা দেশের ছ’টি বিমানবন্দর সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে চালানো হবে।সেই মতো আমদাবাদ, তিরুঅনন্তপুরম, লখনউ, ম্যাঙ্গালুরু, জয়পুর এবং গুয়াহাটি বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। গুয়াহাটির দরপত্র আগামিকাল মঙ্গলবার খোলা হবে। বাকি পাঁচটি বিমানবন্দরের জন্যই সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর দেওয়ায় এই টেন্ডার জিতে নিয়েছে আদানি গ্রুপ।

কিসের ভিত্তিতে বাছাই? এএআই সূত্রে খবর, প্রতি মাসে এক জন প্যাসেঞ্জার পিছু কত খরচ করতে পারবে সংস্থা, সেই হিসেবেই দরপত্র আহ্বান করা হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, অন্যদের তুলনায় আদানি গোষ্ঠীর দেওয়া দরপত্র ছিল সবচেয়ে বেশি এবং আকর্ষণীয়। সেই হিসেবেই পাঁচটি টেন্ডারই জিতে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।

Advertisement

আরও পডু়ন: খবর থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের মৃত্যুর মুখে ঠেললেন রাজনীতি করবেন বলে? আক্রমণাত্মক মমতা

আরও পড়ুন: ‘শাহিস্নান আর দলিতদের পা ধুয়েই সব পাপ দূর হবে তো’? মোদীকে তোপ মায়াবতীর

ছ’টি বিমানবন্দরের জন্য সব মিলিয়ে ১০টি সংস্থার ৩২টি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে আমদাবাদ ও জয়পুরে সাতটি করে, লখনউ ও গুয়াহাটির জন্য ছ’টি করে এবং ম্যাঙ্গালুরু ও তিরুঅনন্তপুরমের জন্য টেন্ডার জমা পড়ে তিনটি করে। তবে টেন্ডার জমা দেওয়া অন্য শিল্প সংস্থাগুলির সম্পর্কে বিশেষ জানা যায়নি। শিল্প মহল মনে করছে, এই পাঁচটি টেন্ডারের যা প্রবণতা, তাতে গুয়াহাটির দায়িত্বভারও আদানি গ্রুপের পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্সের বিজ্ঞাপনে দেশের প্রায় সব বড় সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় মোদীর পাতাজোড়া ছবি ছাপা হওয়ায় বিতর্ক হয়েছে। গুজরাতের সংস্থা এবং সেই সূত্রে মোদী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হওয়ায় আদানি গ্রুপকে নানা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আবার রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনিল অম্বানীর সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে সরব কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এই সব নিয়েই অম্বানী-আদানি নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিরোধীরা সরকার পক্ষকে আক্রমণ করে থাকে। সে সবের মধ্যেই এবার পাঁচ বিমানবন্দরের টেন্ডারও জিতে নিল আদানি গোষ্ঠী।

১৯৮৮ সালে আদানি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন গৌতম আদানি। সংস্থার সদর কার্যালয় আমদাবাদে। বর্তমানে বিদ্যুৎ, অপ্রচলিত শক্তি, কৃষিপণ্য, রিয়েল এস্টেট, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা রয়েছে এই সংস্থার। ৫০টি দেশের অন্তত ৭০টি জায়গায় সংস্থার ব্যবসায়িক কার্যালয় রয়েছে।

(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন