প্রতীকী ছবি।
আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কেন্দ্র চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিলেও এখনও দেশের চাষযোগ্য জমির প্রায় অর্ধেকই সেচ ব্যবস্থার বাইরে। এই পরিস্থিতিতে চাষের জন্য জলের জোগানে অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন জল সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ রাজেন্দ্র সিংহ। তাঁর অভিযোগ, জলের অভাবে ঠিক মতো চাষ করতে না পেরেই ঋণের বোঝা মাথায় চাপছে চাষিদের। আর, তার জেরেই ঘটছে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা।
আইআইএম-কলকাতায় ‘ব্যবসা ও ধারাবাহিক উন্নয়ন’ নিয়ে সম্প্রতি দু’দিনের সম্মেলনে মূল বক্তা ছিলেন দেশে ‘ওয়াটারম্যান’ বলে পরিচিত রাজেন্দ্র সিংহ। সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথাগত পদ্ধতিতে জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেন তিনি। প্রকৃতির সঙ্গে সংঘাত নয়, বরং প্রকৃতির সম্পদ সংরক্ষণ করেই ব্যবসা বা লগ্নির পথ খুঁজতে ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াদের কাছে বার্তা দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, কর্পোরেট দুনিয়া এখন শুধু মুনাফার শর্ত মেনে সমাজ উন্নয়নের দায়বদ্ধতা পালন করছে। যা সার্বিক ও ধারাবাহিক উন্নয়নের পরিপন্থী। তাই ম্যানেজমেন্ট পাঠ্যক্রমে সেই অনুসারে প্রয়োজনীয় রদবদল আনার পক্ষেও সওয়াল করেন সিংহ।
তাঁর দাবি, আবহাওয়া বদলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চাষের পদ্ধতিরও বদল জরুরি। যখন বৃষ্টি নেই, তখন চাষ করলে ভূগর্ভস্থ জলের উপর বাড়তি চাপ পড়বে। আবার উন্নয়নের নামে জলের অপব্যয় ও সংরক্ষণের অভাবে ভূগর্ভস্থ জল ও তার পরিমাণও কমছে।
এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে জোর দিতে বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের চেয়ে রাজস্থানে বৃষ্টি কম। কিন্তু সেখানে জল সংরক্ষণ করে সুফল মিলেছে।’’