প্রতীকী চিত্র
এ বার গ্রামীণ ডাকঘর (ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস) থেকে কেনা যাবে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট। লগ্নি করা যাবে পিপিএফের মতো প্রকল্পেও। এত দিন ওই সব স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে লগ্নি করতে হলে গ্রাহককে সাব পোস্ট অফিস বা বিভাগীয় ডাকঘরে যেতে হত।
ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের সিপিএমজি মার্ভিন আলেকজ়ান্ডার শনিবার জানান, দর্পণ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ ডাকঘরগুলিতে মোবাইলের মতো ‘সিম’ ভরা বিশেয যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় ডাকঘরগুলি সিবিএস ব্যবস্থার আওতায় আসায় এখন তাদের সঙ্গে ওই প্রযুক্তি দিয়ে গ্রামীণ ডাকঘরগুলির অধিকাংশই যুক্ত।
গ্রামীণ ডাকঘর
•এত দিন শুধু সেভিংস ও রেকারিং অ্যাকাউন্ট, মেয়াদি জমা ও সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় লগ্নির সুবিধা মিলত।
•অন্য প্রকল্পের জন্য যেতে হত বিভাগীয় ডাকঘরে।
•এ বার লগ্নি করা যাবে পিপিএফ, মাসিক আয় প্রকল্প, এনএসসি, কেভিপি ও প্রবীণদের সঞ্চয় প্রকল্পেও।
রাজ্যে
•৭০৪৮টির মধ্যে ৭০৪৬টিতে ডিজিটাল যন্ত্রের জোগান।
•সিংহভাগ ডাকঘরে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে অন্য আর্থিক পরিষেবা চালু।
•সফটওয়্যার উন্নত করতে হবে নতুন প্রকল্পের জন্য।
•প্রশিক্ষণ দিতে হবে কর্মীদের।
•মাস দুয়েকের মধ্যে নতুন সুবিধা চালুর আশা।
ওই যন্ত্রের মাধ্যমে সেখানে অনলাইনে টাকা জমা বা তোলা, মনরেগার টাকা বণ্টন, ডাক জীবন বিমার প্রিমিয়াম দেওয়ার মতো কাজ হয়। এ বার সেটিকেই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির জন্য ব্যবহার করা হবে। এখন থেকে ওই সব ডাকঘরে এজেন্ট ছাড়া গ্রাহক নিজেরাই সরাসরি প্রকল্পে খাতা খুলে লেনদেন করতে পারবেন।
পরিকল্পনা দ্রুত রূপায়ণের লক্ষ্য থাকলেও, করোনা আবহে তা চালু করতে দু’মাস সময় লাগতে পারে বলে মত মার্ভিনের। তিনি বলেন, এর জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিতে হবে।