অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা মোকাবিলায় এ বার থেকে বড় নয়, ছোট অঙ্কের ঋণ দেওয়ার উপরই জোর দেবে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহের খরচ কমাতে দীর্ঘ মেয়াদি মোটা অঙ্কের আমানতের (বাল্ক ডিপজিট) বদলে সেভিংস এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা নেওয়ায় জোর দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা।
এ দিকে, ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে অনুৎপাদক সম্পদ-সহ অন্যান্য খাতে আর্থিক সংস্থানের অঙ্ক কমায় এবং শেয়ার বাজারে লগ্নি খাতে মুনাফা বাড়ায় নিট লোকসানের বহর কমিয়েছে কলকাতার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। বুধবার ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের ফল ঘোষণা করতে গিয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও উষা অনন্তসুব্রহ্মণ্যন বলেন, ‘‘বড় ঋণ দেওয়ায় বেশি জোর না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বদলে এখন ছোট ও ক্ষুদ্র অঙ্কের ঋণ বেশি দেব। জোর দেব কৃষি এবং খুচরো ঋণের উপরেও।’’
যদিও একই সঙ্গে তাঁর দাবি, বড় অঙ্কের ঋণ যে একেবারেই দেওয়া হবে না, তেমন সিদ্ধান্ত হয়নি। নামী সংস্থায় ভাল প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার সুযোগ এলে দ্বিধা করবেন না তাঁরা।
২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন খাতে আর্থিক সংস্থান করেছে ৪,১৮০.২৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের থেকে ৭১৬.৯২ কোটি কম। অনুৎপাদক সম্পদ খাতে সংস্থান ১,৪২০.৬৮ কোটি কমানোর ফলেই মূলত এটা সম্ভব হয়েছে। অন্য দিকে, শেয়ার ও বন্ড বাজারে লগ্নি করে ২০১৬-’১৭ সালে তারা আগের বারের থেকে ৪৯৮ কোটি টাকা বেশি লাভ করেছে। আর মূলত এই দুই কারণেই গত অর্থবর্ষে ব্যাঙ্ক নিট লোকসান করলেও, আগের বছরের থেকে তা ৪২৯.৭৯ কোটি টাকা কমাতে পেরেছে। নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩১৩.৫২ কোটি টাকা।
আর্থিক সংস্থান কমালেও এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ কিন্তু আগের বছরের থেকে আরও বেড়েছে। হয়েছে মোট ঋণের ১৩.০৯%। আগের বার ছিল ৯.৭৬%।