অমিত মিত্র।
তড়িঘড়ি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে জিএসটি চালু করায় ছোট ব্যবসায়ীরা সঙ্কটে পড়েছেন বলে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অভিযোগ তুললেন, জিএসটিএন সফটওয়্যার ঠিকমতো কাজ না করায় বহু লেনদেন অনলাইনে হচ্ছে না। এতে হাওয়ালা লেনদেন বাড়ছে।
অমিতবাবুর দাবি, পরিকাঠামোর বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় কিছু জাল সংস্থা তৈরি হচ্ছে। যারা নিজেদের মধ্যে লেনদেন চালিয়ে, পরে কাঁচামাল কিনতে আগে মেটানো করের টাকা (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) ফেরতের দাবি করছে বেআইনি ভাবে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় অমিতবাবু বলেন, কেন্দ্রকে বলা হয়েছিল সময় নিয়ে পুরো পরিকাঠামো গড়ে জিএসটি আনতে। কিন্তু তারা শোনেনি। অথচ ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট ফেরতের ব্যবস্থা (জিএসটিআর-২) এখনও চালু হয়নি। জিএসটিআর-৩বি রিটার্নেও ক্রেতা-বিক্রেতার হিসেব মেলাতে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। ত্রুটিপূর্ণ অনলাইন ব্যবস্থায় নাজেহাল ছোট ব্যবসায়ীরা। অনাবশ্যক খরচ হচ্ছে রিটার্ন দিতে। ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সকলে। তবে পশ্চিমবঙ্গ লড়াই করায় অন্তত কাঁচা পাট, মিষ্টি দই, মাটির প্রতিমাকে এই করের থেকে বাদ রাখা গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
হালে পেট্রল, ডিজেলে জিএসটি নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে দেশে। এগুলির ভ্যাটে রাজ্য ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে কি না, সে প্রশ্নের উত্তরে এ দিন খোলসা করে কিছু বলেননি অমিতবাবু। শুধু জানান, জিএসটি পরিষদ চায় রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় স্থিতিশীল হলে, তবেই এগুলিতে জিএসটি বসা নিয়ে কথা হোক।