(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং প্রশান্ত কিশোর (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) কংগ্রেসের যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হল। কারণ, দিল্লিতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে তাঁর বৈঠক। বিহারের সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে বিপর্যস্ত হয়েছে দু’দলই। এই পরিস্থিতিতে আবার বছর তিনেক পরে পিকে কংগ্রেসের কাছাকাছি আসছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
গত রবিবারের ওই ‘গোপন বৈঠক’ সম্পর্কে গত সোমবার সংসদ ভবনে প্রিয়ঙ্কাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু সরাসরি কোনও জবাব মেলেনি। সূত্রের খবর, সনিয়া গান্ধীর ১০ জনপথের বাংলোতেই ওই বৈঠক হয়েছে। গত এক দশক ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোটজয়ের কৌশল স্থির করে দিয়েছেন প্রশান্ত। তারই মাঝে ২০১৮ সালে নীতীশের দল জেডিইউতে যোগ দিলেও, নীতীশের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ২০২০ সালে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের গোড়ায় পিকের কংগ্রেস যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে সময় দফায় দফায় রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
২০২২ সালে গান্ধীজয়ন্তীর দিন থেকে পিকে বিহারে শুরু করেছিলেন ‘জন সুরাজ যাত্রা’। দু’বছর পর সেই একই দিনে পটনায় রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ‘জন সুরাজ পার্টি’। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটের ফল বলছে, মগধভূমে গত দু’বছর ধরে বিহারের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের শরিক হয়ে প্রান্তিক মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলি নিয়ে ধারাবাহিক প্রচার চালিয়েও জনমানসে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ জন সুরাজ। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ২৩৮টিতে প্রার্থী দিয়ে পিকের ঝুলি শূন্য। জন সুরাজ পার্টি’র প্রার্থীরা সাকুল্যে পেয়েছেন ৩.৪৪ শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল, ভোটে তেমন ভাল ফল করতে না-পারলেও ‘ভোটকাটুয়া’ হয়ে ফলাফল নির্ধারণে নির্ণায়ক হতে পারে জন সুরাজ পার্টি। যদিও ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট সেই ভূমিকাতেও ফেল করেছে পিকে-র দল। অন্য দিকে, আজজেডি, বামেদের মহাগঠবন্ধনের শরিক কংগ্রেস এ বার ৬১ আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ছ’টিতে!