Amit Mitra

Amit Mitra: সাত বছরে দেশ ছেড়েছেন ৩৫ হাজার উদ্যোগপতি, মোদী-আতঙ্কের অভিযোগ অমিত মিত্রের টুইটে

কালো টাকা থেকে দুর্নীতি, সব কিছু রুখে দেশে স্বচ্ছ সরকার গড়ার উদাহরণ হিসেবে মোদীকে তুলে ধরে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২১ ০৬:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

কেন্দ্র দাবি করে, মোদী জমানা মানেই শিল্পায়ন, উদ্যোগপতি হওয়ার সিঁড়ি নির্মাণ। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, দুই ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ ও সহজ প্রশাসনের কারিগর হিসেবেও নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরে তাঁর দল। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী জমানায় আতঙ্কে ভুগতে হয় শিল্পকর্তা-উদ্যোগপতিদের। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে হেনস্থা হতে হয় অনেককেই। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ বার সেই একই অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনটি আলাদা আলাদা রিপোর্ট তুলে ধরে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, গত সাত বছরে দেশ ছেড়েছেন মোট ৩৫,০০০ বিত্তশালী উদ্যোগপতি! তাঁর জমানায় এত বেশি ভারতীয় উদ্যোগপতি কেন দেশত্যাগ করেছেন, এ নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন বলেও দাবি করেছেন অমিতবাবু।

Advertisement

কালো টাকা থেকে দুর্নীতি, সব কিছু রুখে দেশে স্বচ্ছ সরকার গড়ার উদাহরণ হিসেবে মোদীকে তুলে ধরে বিজেপি। শুধু চাকরি নয়, উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্ম উদ্যোগপতি হোন, নতুন নতুন (স্টার্ট আপ) সংস্থার বিস্তার ঘটুক— দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সাত বছরে এই বার্তা বার বার দিয়েছেন মোদী নিজে। কিন্তু সেই সব দাবি নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুললেন অমিতবাবু। জিএসটি থেকে জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন), নানা বিষয়ে সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন যিনি। উপদেষ্টা সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি-সহ বিভিন্ন রিপোর্ট তুলে ধরে এ বার তাঁর টুইট-তির, ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই বিপুল সংখ্যক বিত্তবান উদ্যোগপতি ভারত ছেড়েছেন। হয়েছেন অনাবাসী ভারতীয়। যেমন, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশ ছেড়েছেন ২৩,০০০ জন। ঘর ছাড়ার এই দৌড়ে বিশ্বে ভারত প্রথম। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আরও ৭০০০ ও ২০২০ সালে ৫০০০ জন ভিন্‌ দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তার পরেই অমিতবাবুর প্রশ্ন, কেন এই ঘটনা ঘটেছে? আতঙ্কের কারণে?

জনপ্রিয় কফি বিপণি ‘ক্যাফে কফি ডে-র কর্ণধারের আত্মহত্যার ঘটনার পরে আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সরকার তা অস্বীকার করে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পরে আশ্বাস দেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। তবে বিরোধীদের দাবি, অযথা কর দফতরের হেনস্থার মুখে পড়েছেন অনেকেই। শুধু তা-ই নয়, চাপ আসে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফেও।

Advertisement

টুইটে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধেও শিল্পর্তাদের ভর্ৎসনা করার অভিযোগ এনেছেন অমিতবাবু। তবে সরাসরি নয়, তিনি বলেছেন, খবরে জানা গিয়েছে ১৯ মিনিটের বক্তব্যে পীযূষ ভারতীয় শিল্প মহলকে ‘দেশবিরোধী’ তকমা দেন। তারা দেশের স্বার্থ বিরুদ্ধ কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু মোদী পীযূষকে এ জন্য কোনও তিরস্কার করেননি। কেন? সেই আতঙ্কই কি দেশ ছাড়ায় উৎসাহ দিচ্ছে, প্রশ্ন তাঁর। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অমিতবাবুর টুইট দেশের রাজনীতিই শুধু নয়, শিল্প মহলেও কতটা আলোড়ন ফেলে সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন