বছরের প্রথমার্ধেই ভাল ইঙ্গিত। নতুন নিয়োগ বাড়ছে কর্পোরেট দুনিয়ায়। সমীক্ষায় দাবি বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের।
দেশের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সার্বিক ভাবেই গত বছরে চাকরির ক্ষেত্র আশাব্যঞ্জক ছিল না। বিশেষত উৎপাদনমুখী শিল্পের মন্দা দশায় নতুন চাকরি তৈরি তো দূরস্থান, গাড়ির মতো বহু শিল্পেই কাজ খুইয়েছেন অনেকে। তবে কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার আসার পরে আশা, সঠিক নীতি নিলে সেই স্থায়িত্ব অর্থনীতির চাকা ঘোরাবে। অ্যাসোচ্যামের দাবি, চলতি বছরের ছ’মাস কাটার পরে আশার সেই রুপোলি রেখা দেখা যাচ্ছে। তাদের সমীক্ষা বলছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে এখনও চাকরির রমরমা যথেষ্ট। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে টেলিকম, বিপণন, বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় নতুন কাজের সম্ভাবনা।
অর্থাৎ, মূলত পরিষেবা ক্ষেত্রেই চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে বেশি। উৎপাদনমুখী শিল্পে এখনও ছবিটা যে ততখানি উৎসাহজনক নয়, তা মানছেন বণিকসভার সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াত। তাঁর কথায়, “যদিও গত মে মাসে শিল্পোৎপাদন আশার তুলনায় বেড়েছে, তবু নতুন নিয়োগের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে সংস্থাগুলি ভবিষ্যতেও সেই বৃদ্ধির বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন।
বিভিন্ন চাকরির পোর্টাল, জাতীয়-আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রায় ২৫০০ সংস্থার দেওয়া নিয়োগের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই সমীক্ষা হয়েছে সব মিলিয়ে ২০টি ক্ষেত্রে। সমীক্ষকদের দাবি, গত জানুয়ারি-জুনে মাঝের স্তরের কর্মীর চাহিদা ছিল বেশি। ১০-২০ বছর বা তার বেশি অভিজ্ঞদের চাকরির চাহিদা এখনও কম। দিল্লি-রাষ্ট্রীয় রাজধানী অঞ্চলে টেলিকমে ছ’মাসে কর্মী নিয়োগ বেড়েছে ৫৪%। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদে তা যথাক্রমে ৩৮% ও ৩২%। তবে মুম্বই ও চেন্নাইতে নিয়োগ কমেছে। টাকার পতনের জেরে আউটসোর্সিং সস্তা হওয়ায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার চাহিদা বেড়েছে। এই ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুতে নিয়োগ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, ৪৩%। বিপণন ও বিজ্ঞাপনে নিয়োগ বেড়েছে প্রায় ৪৮%। ভোগ্যপণ্য, ওষুধ শিল্পেও সুযোগ বাড়ছে বলে দাবি সমীক্ষার। বাজেটে নির্মাণ, পরিকাঠামো-সহ কিছু ক্ষেত্রে উৎসাহমূলক প্রস্তাব ঘোষণায় আশাবাদী শিল্পমহলের একাংশ। অ্যাসোচ্যামের দাবি, এখনও বাস্তবে তার ফল তেমন দেখা না-গেলেও এর সুফল পেতে আরও কিছুটা সময় জরুরি।