অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন
আর্থিক সমীক্ষার মতো জটিল বিষয়কে সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। মনে করতেন, সরকারে সব সময় নিরপেক্ষ উপদেষ্টা থাকা জরুরি। যিনি স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাষায় বলবেন। তুলবেন অপ্রিয়, কড়া প্রশ্ন। নর্থ ব্লকে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে শেষ কাজের দিনেও সম্ভবত এই চাওয়াটুকুই রেখে গেলেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন।
উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর দেওয়া নিরপেক্ষ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা তাঁর সরকার সব সময় মেনেছেন কি না, তা নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বক্তব্য, ‘‘নোট বাতিলের আগে ওঁর সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। সে ব্যাপারে ওঁর নিশ্চয়ই যন্ত্রণা রয়ে গিয়েছে।’’ সুব্রহ্মণ্যন সরাসরি মন্তব্য না করলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেননি।
অরুণ জেটলির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল। তবু সুব্রহ্মণ্যন পরিষ্কার বলেছিলেন, পেট্রল-ডিজেলে করের টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করা উচিত। কিন্তু কেন্দ্র সেই আয়ের একাংশ ঘাটতি মেটাতে লাগিয়েছিল। ব্যবহার করে সপ্তম বেতন কমিশনের টাকা জোগাতেও। সুব্রহ্মণ্যন মেনেছিলেন, এ বিষয়ে কট্টরপন্থীদের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরেছেন তিনি। তবু সরকারে ‘রাজা তোর কাপড় কোথায়’ বলারই লোক চান তিনি।