ইন্টারনেট বন্ধের জেরে ব্যাহত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা

‌মালদহ ও মুর্শিদাবাদে সাময়িক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে প্রশাসন। আপাতত নেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

নয়া নাগরিকত্ব আইন ঘিরে রাজ্যের কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়া গোলমাল সামলাতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে সাময়িক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে প্রশাসন। আপাতত নেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশেও। আর তার জেরে সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাহত হয়েছে নেট ব্যাঙ্কিং ও মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। নেটে আর্থিক লেনদেন-সহ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কাজকর্ম সারতে গিয়ে নাকাল হয়েছেন অনেক গ্রাহক। এমনকি ইউপিআইয়ের মতো অনলাইনে টাকা মেটানোর ব্যবস্থাও কাজ করেনি বেশ কিছু জায়গায়। ব্যাঙ্কিং মহলের দাবি, নেট সংযোগ বন্ধ থাকার দরুন সার্ভার ঠিকমতো কাজ না-করায় অনেক জায়গায় ব্যাঙ্কের শাখা খোলা থাকলেও, চালু রাখা যায়নি পরিষেবা। কোথাও কোথাও আবার গোলমালের জেরে শাখা খোলাই সম্ভব হয়নি।

Advertisement

ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের আহ্বায়ক সিদ্ধার্থ খানের দাবি, কিছু অঞ্চলে সকালের দিকে ব্যাঙ্কের শাখা খোলা হয়। পরে তা বন্ধ করেন কর্তৃপক্ষ। স্টেট ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, রাজ্যে এ দিন প্রায় ২৩টি শাখা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, গোলমালের কারণে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কিছু শাখাও বন্ধ রাখতে হয়। কলকাতার লাগোয়া নিউটাউন অঞ্চলেও কিছু ব্যাঙ্কের ঝাঁপ খোলা সম্ভব হয়নি।

এ দিকে ব্যাঙ্কিং মহল সূত্রের খবর, অনেক জায়গায় আতঙ্কের জেরে গ্রাহকেরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে বেশি করে টাকা তুলে নিতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে বা এটিএম থেকে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগর এবং ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, এই আতঙ্ক পুরোপুরি অর্থহীন। বরং তাঁদের সতর্কবার্তা, ‘‘ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হোক বা এটিএম থেকে, এর ফলে যে সমস্যা হতে পারে তা হল, আঞ্চলিক শাখা বা এটিএমের টাকা দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে। অথচ গোলমালের জেরে ওই সব এটিএম ও শাখায় টাকা পাঠানোয় সমস্যা দেখা দিলে ব্যাঙ্ক খোলা থাকলেও গ্রাহকদের টাকা না-পাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তখন ভোগান্তি আরও বাড়বে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন