Investment

স্ত্রীর জন্য বিমা করেছেন? আয়কর ছাড় পাবেন তো?

আপনার নিজের বাদ দিয়ে স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য পলিসির ক্ষেত্রে ৮০সি-তে কর ছাড় দাবি করলে তা পেতে পারেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৫:৩৮
Share:

স্ত্রীর জন্য বিমার প্রিমিয়ামে আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে কি? ছবি: সংগৃহীত।

মানুষের জীবনের কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই যে কোনও পরিস্থিতিতে যাতে পরিবার অথৈ জলে গিয়ে না পড়ে, অধিকাংশ মানুষই বিমার পথে হাঁটেন। বিমা হল যার মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জীবন থেকে শুরু করে সম্পদ, সম্পত্তির সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত এবং নির্দিষ্ট ঝুঁকি পরিবর্তন করা যায়। বিমার মাধ্যমে ব্যক্তি বা বিমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়াম) বিনিময়ে কোনও ব্যক্তির আংশিক বা সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে।

Advertisement

অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, স্ত্রীর জন্য বিমার প্রিমিয়ামে আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে কি না। তাঁদের জেনে রাখা ভাল যে, আপনার নিজের বাদ দিয়ে স্ত্রী এবং সন্তানের জন্য পলিসির ক্ষেত্রে ৮০সি-তে কর ছাড় দাবি করলে তা পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, জীবন বিমা কেনার উদ্দেশ্য হল পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করা। শুধুমাত্র কর বাঁচানোর উদ্দেশ্যে কখনওই জীবন বিমা করা উচিত নয়। যে হেতু আপনার স্ত্রীর কোনও আয় নেই, সে হেতু আপনার তাঁর জীবনের জন্য কোনও জীবন বিমা পলিসি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং আপনার নিজের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার পলিসি নেওয়াটাই আপনার জন্য শ্রেয় হবে। নিজের, স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য লাইফ কভারের জন্য প্রদত্ত প্রিমিয়াম ৮০সি-র অধীনে কর ছাড়ের যোগ্য। সন্তানদের জন্য প্রিমিয়াম দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা যে আপনার উপর নির্ভরশীলই হতে হবে, তা কিন্তু নয়। সুতরাং আপনার সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক বা নাবালক, বিবাহিত বা অবিবাহিত, যে কেউ হতে পারে।

এক বার বিনিয়োগের অঙ্ক স্থির করা হয়ে গেলে এর পর ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করবেন, তা বেছে নেওয়া সহজ হবে।

Advertisement

মূলত, ৮০সি ধারার মাধ্যমে করদাতারা তাঁদের করযোগ্য আয়ে কাটছাঁট করতে পারেন। ফলে কর সঞ্চয়কারী বিনিয়োগের মাধ্যমে কর বাঁচাতে পারেন তাঁরা।

এটিকে আয়কর আইনের ৮৮ নম্বর ধারার একটি উত্তরসূরি বলা যেতে পারে। তবে বর্তমানে এই ধারা অকার্যকর হয়ে গিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৮০সি-র অধীনে কোনও এক অর্থবর্ষে কোনও নাগরিকের মোট বেতন থেকে বার্ষিক সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর কমানো যেতে পারে। এর আগে ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত এই সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১ লক্ষ টাকা। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে নয়া কর ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে পুরনো এবং নতুন নিয়মের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেওয়ার অপশন রয়েছে।

৮০সি-র অধীনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলি হল, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (৮-১০% সুদ), ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (১২-১৫%), পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (৭.১%), সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (৮.২%), ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (৬.৮%), ইউনিট লিঙ্কড ইনসিওরেন্স প্ল্যান (৮-১০%), ফিক্সড ডিপোজ়িট (৮.৪% পর্যন্ত) এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (৭.৬%)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন