ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে চলেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। উদ্বোধন ১ মার্চ। নাম বন্ধন স্কুল অব ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এটি গড়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুরে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্যে এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাঁরাই প্রথম চালু করতে চলেছেন।
নিজেদের ব্যাঙ্কের জন্য প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত কর্মী তৈরি করাই এটি চালু করার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে জানান বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘এখান থেকে পাশ করে বেরোনোর পরে ছেলেমেয়েদের সরাসরি বন্ধন ব্যাঙ্কে নিয়োগ করা হবে।’’ প্রতি বছর প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া ২৪০ জনকেই তাঁদের ব্যাঙ্কে নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান চন্দ্রশেখরবাবু।
তিনি মনে করেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব কৃষ্টি, কাজের ধারা ও নীতিবোধ থাকে। নিজস্ব ঘরানার কর্মী বাজার থেকে চটজলদি পাওয়া কঠিন। তাই কলেজ থেকে বেরোনো ছেলেমেয়েদের ওই প্রতিষ্ঠানে নিজেদের মতো তৈরি করে নেওয়ার প্রকল্পটি হাতে নিয়েছেন বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এখানে যাঁরা পড়তে আসবেন, তাঁদের সকলকেই লাগোয়া হোস্টেলে থেকে পড়তে হবে।
তবে এই উদ্যোগে তাঁদের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও রয়েছে বলে জানান চন্দ্রশেখরবাবু। তিনি বলেন, ‘‘পাঠ্যক্রম এমন ভাবে তৈরি করেছি, যাতে এখান থেকে পাশ করলে ছেলেমেয়েরা অন্য যে-কোনও ব্যাঙ্কে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, এর পরে অন্য ব্যাঙ্কও এই প্রতিষ্ঠানে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাবে।’’
এখানকার পাঠ্যক্রমটি এক বছরের। কোর্স ফি ৩.৫০ লক্ষ টাকা। তবে বন্ধন ব্যাঙ্ক প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি দেবে প্রথম ৯ মাস, প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা করে। শেষের তিন মাস দেওয়া হবে মাসে ১০ হাজার টাকা। প্রত্যেককে দেওয়া হবে ল্যাপটপ। চন্দ্রশেখরবাবু জানান, পাশ করে বন্ধন ব্যাঙ্কে নিযুক্ত হওয়ার পরে বাধ্যতামূলক ভাবে সেখানে কমপক্ষে তিন বছর চাকরির শর্ত থাকবে।
বন্ধনের বিভিন্ন শাখায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা হাতেকলমে প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। যে-সব বিষয় পড়ানো হবে তার মধ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ও ব্যাঙ্কের বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত পাঠ ছাড়াও থাকবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, অর্থনীতি-সহ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়।