শুল্ক যুদ্ধে বেহাল রফতানি, বৃদ্ধিও

বাণিজ্য যুদ্ধে দাঁড়ি টানার লক্ষ্যে মার্কিন-চিন আলোচনা শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত যে ভাবে পরস্পরের পণ্যে শুল্ক-পাল্টা শুল্ক চাপানোর লড়াই চালিয়েছে দুই দেশ, তার জেরে গত মাসে বেজিংয়ের রফতানি ধাক্কা খেল আশঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

বাণিজ্য যুদ্ধে দাঁড়ি টানার লক্ষ্যে মার্কিন-চিন আলোচনা শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত যে ভাবে পরস্পরের পণ্যে শুল্ক-পাল্টা শুল্ক চাপানোর লড়াই চালিয়েছে দুই দেশ, তার জেরে গত মাসে বেজিংয়ের রফতানি ধাক্কা খেল আশঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি। সরকারি তথ্য জানাল, তা জানুয়ারির ২,৭৩০ কোটি ডলার থেকে ওই মাসে তা ১,৪৭০ কোটিতে নেমেছে। চিনা পণ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে ২০.৭% কম।

Advertisement

হতাশার ছবি বৃদ্ধিতেও। ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসে তা ৬.৪ শতাংশের কাছে ছিল। আর সম্প্রতি বেজিংয়ে সংসদের বার্ষিক অধিবেশনে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, এ বছর সেই লক্ষ্য ২০১৮ সালের ৬.৬% থেকে আরও কমিয়ে করা হয়েছে ৬-৬.৫ শতাংশ। যা দেখে প্রমাদ গুনছে চিনের শিল্প মহল। জানাচ্ছে, শুল্ক যুদ্ধের আঁচেই প্রকট ব্যবসার সঙ্কট। কমেছে চাহিদা। বেহাল বৃদ্ধি।

যদিও সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চিনের সঙ্গে সন্ধি-কথা ভাল ভাবে এগোচ্ছে। ইঙ্গিত, ২৭ মার্চ চুক্তি হতে পারে দু’পক্ষের। তবে একই সঙ্গে সমস্যা যুঝতে বেজিং দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড়, ফি কমানো, বিধির ফাঁস আলগা করতে শিথিল ঋণনীতির মতো পদক্ষেপের পরিকল্পনাও করেছে। আইএমএফের পরামর্শ, বৃদ্ধিকে ঠেলে তুলতে অভ্যন্তরীণ চাহিদায় গতি আনা ছাড়া উপায় নেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন