টাটার কারখানা কিনলে ঋণ দিতে পারে ব্রিটেন

ব্রিটেনের ইস্পাত শিল্পে প্রাণ ফিরিয়ে নিজেদের মুখ বাঁচাতে মরিয়া ডেভিড ক্যামেরনের সরকার। তাই লোকসানে পর্যুদস্ত হয়ে টাটা স্টিল সে দেশ থেকে ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, সংস্থার কারখানাগুলিতে যাতে তালা না-ঝোলে তা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০২:২২
Share:

ব্রিটেনের ইস্পাত শিল্পে প্রাণ ফিরিয়ে নিজেদের মুখ বাঁচাতে মরিয়া ডেভিড ক্যামেরনের সরকার। তাই লোকসানে পর্যুদস্ত হয়ে টাটা স্টিল সে দেশ থেকে ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, সংস্থার কারখানাগুলিতে যাতে তালা না-ঝোলে তা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন। সরকারি সূত্রে খবর, এই কারণেই এ বার ব্রিটেনের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা টাটাদের পোর্ট ট্যালবট কেনায় উৎসাহ জোগাতে যোগ্য ক্রেতাদের শর্তসাপেক্ষে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে ব্রিটিশ সরকার।

Advertisement

ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে, না বেরিয়ে যাবে, তা নিয়ে ২৩ জুন গণভোট। যে কারণে টাটা স্টিল ব্রিটেনে ইস্পাত ব্যবসা বিক্রির পরিকল্পনার কথা জানানোর পর থেকেই সংস্থার কারখানাগুলি খুলে রাখার এবং সেখানে কর্মকাণ্ড চালু রাখার জন্য চাপ তৈরি হয়েছে ক্যামেরনের উপর। বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার কর্মীর বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা রোখার। কারণ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, টাটাদের সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের গণভোটে ছাপ ফেলবে। আর সেটা বুঝেই সতর্ক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

রানির দেশে টাটা স্টিলের ১৫ হাজার কর্মীর মধ্যে ৪,০০০ জন রয়েছেন শুধু দক্ষিণ ওয়েলসের পোর্ট ট্যালবটেই। ক্যামেরন অবশ্য আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ব্রিটেনে টাটা স্টিলের কারখানা সরকারের হাতে নেওয়া সমস্যার সঠিক সমাধান নয়। তবে তা হাতবদলের ক্ষেত্রে সব রকম সাহায্য করবে প্রশাসন। কিন্তু সোমবার ব্রিটেনের বাণিজ্য সচিব সাজিদ জাভিদ জানান, পোর্ট ট্যালবট বাঁচাতে কারখানাটির সম্ভাব্য ক্রেতার সঙ্গে সহযোগী লগ্নিকারী হওয়ার কথা ভাববে সরকার। এর পরেই তাঁর এই মন্তব্যকে সে দেশের কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যম পোর্ট ট্যালবটে সরকারের অংশীদার হওয়ার পথ খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

Advertisement

অবশ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে বিক্রি পাকা হলে সংশ্লিষ্ট লগ্নিকারীকে ধার দেওয়ার জন্য চুক্তি করতে পারে সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন