IndiGo Flight Operations Hit

শুক্রবার দিল্লি থেকে উড়বে না ইন্ডিগোর কোনও বিমান! জানিয়ে দিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

বৃহস্পতিবার সারা দিনে মোট ৫৫০টি বিমান বাতিল করল ইন্ডিগো। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানববন্দর থেকেও ইন্ডিগোর কোনও বিমান ছাড়বে না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৮
Share:

ব্যাহত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। অপেক্ষায় যাত্রীরা। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের টার্মিনালে জমেছে ব্যাগ। ছবি: পিটিআই।

টানা তিন দিন ধরে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। শুক্রবার ওই বেসরকারি বিমানসংস্থার ৬০০-রও বেশি বিমান বাতিল করা হয়েছে। রাত ১২টা পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর থেকে উড়বে না ইন্ডিগোর কোনও বিমান। এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে। অন্য দিকে, সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানববন্দর থেকেও ইন্ডিগোর কোনও বিমান ছাড়বে না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সারা দিনে মোট ৫৫০টি বিমান বাতিল করল ইন্ডিগো। চলতি অব্যবস্থার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীদের কাছে আরও একবার ক্ষমাও চায় তারা। তবে তাতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি। বরং বৃহস্পতিবার সারা দিনে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সার্বিক অব্যবস্থাই লক্ষ করা গিয়েছে। ইন্ডিগোর যাত্রীদের অভিযোগ, যথাযথ খাবার এবং আশ্রয় ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের বিমান ছাড়বে, তা বিমানসংস্থার তরফে জানানো হচ্ছে না।

হায়দরাবাদ থেকে কলকাতা, দিল্লি থেকে মুম্বই— দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাগপত্র, স্যুটকেস জমা হচ্ছে। অনেক যাত্রীই কার্যত বাধ্য হয়ে টার্মিনালের মেঝেয় শুয়েই রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে খাবার এবং পানীয় জল না-পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বিমানসংস্থাটির বিরুদ্ধে স্লোগানও উঠেছে বিভিন্ন বিমানবন্দরে। এক যাত্রীর কথায়, “আমি ১২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। প্রতি বার ইন্ডিগো বলছে এক-দু’ঘণ্টা দেরি হবে। তাদের কর্মীরা কিছু জানাচ্ছে না। এখন এটা সবচেয়ে খারাপ বিমানসংস্থা।” যাত্রীদের একাংশের প্রশ্ন, বর্তমান পরিকাঠামো নিয়ে যদি পরিস্থিতি সামাল না-দেওয়া যায়, তবে নতুন যাত্রী নিচ্ছে কেন ইন্ডিগো?

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে সংসদেও সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি ইন্ডিগোর বিমান বাতিলের প্রসঙ্গটি রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু বিষয়টি দেখছেন এবং সঙ্কট নিরসনে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করতে পারে, তা খতিয়ে দেখছেন। ইন্ডিগোর তরফে বিমানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে যে, তাদের পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement