অংশীদারি বিক্রিতে সায়, তালিকায় বিসিপিএল 

গত বাজেটে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৩ শতাংশে বেঁধেছিল সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর সংগ্রহ প্রত্যাশার ধারেপাশে পৌঁছয়নি। সে ক্ষেত্রে ঘাটতিকে আদৌ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৩
Share:

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর

চলতি অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য যে এয়ার ইন্ডিয়া, পবন হংস, স্কুটার ইন্ডিয়া, ভারত আর্থ মুভার্স-সহ ২৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিল সরকার। সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানালেন, এই সংস্থাগুলির অংশীদারি বিক্রির সিদ্ধান্তে নীতিগত সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল কেমিক্যালস (বিসিপিএল) এবং ব্রিজ অ্যান্ড রুফ রয়েছে। আছে সেলের দুর্গাপুর, সালেম এবং ভদ্রাবতী ইউনিটও।

Advertisement

গত বাজেটে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৩ শতাংশে বেঁধেছিল সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর সংগ্রহ প্রত্যাশার ধারেপাশে পৌঁছয়নি। সে ক্ষেত্রে ঘাটতিকে আদৌ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ। এই অবস্থায় অংশীদারি বিক্রি সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। বস্তুত, গত অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা শুরুতে ৮৫ হাজার কোটি টাকা রেখেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তা ৯০ হাজার কোটি পার হয়।

মন্ত্রী জানান, এইচপিসিএল, আরইসি, ড্রেজিং কর্পোরেশন-সহ পাঁচটি সংস্থার কৌশলগত বিলগ্নির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১৭,৩৬৪ কোটি টাকা রাজকোষে তুলেছে সরকার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন