Nirmala Sitharaman

কেন্দ্রই ফিরিয়েছে ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য: নির্মলা

সোমবার লোকসভায় লিখিত জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাল ফেরাতে কেন্দ্র একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০৮
Share:

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।

কেন্দ্রের দাওয়াইয়ের জেরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য ফিরেছে বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Advertisement

সোমবার লোকসভায় লিখিত জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাল ফেরাতে কেন্দ্র একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনা, নজরদারি বাড়ানো, কড়া হাতে বকেয়া আদায়। তাঁর দাবি, এর ফলে এক দিকে যেমন উন্নতি হয়েছে ব্যাঙ্কগুলির ব্যবসার, অন্য দিকে কাজে উৎসাহ পেয়েছেন কর্মীরাও। যার হাত ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঘাড় থেকে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা অনেকটাই নেমেছে। ২০১৮ সালের মার্চে যেখানে মোট অনুৎপাদক সম্পদ ছিল ৮.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা, গত সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.২৭ লক্ষ কোটি।

একের পর এক প্রতারণা ও অনুৎপাদক সম্পদে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সুরাহা দিতে দেউলিয়া আইন চালু করেছে কেন্দ্র। নির্মলা বলেন, সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া দেড় বছরে প্রায় ২.০৩ লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে মুনাফার মুখ দেখেছে ১৮টির মধ্যে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই। এমনকি অনুৎপাদক সম্পদ খাতে আর্থিক সংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে গত সাড়ে সাত বছরে সর্বাধিক।

Advertisement

এ ছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নতুন পুঁজি ঢেলেছে কেন্দ্র। ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফসি) সমস্যা মোকাবিলায় বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে সরকারি ঋণপত্র কিনেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এ সবই ফল দিয়েছে বলে জানান নির্মলা। যে কারণে ঋণের অনুপাতে ব্যাঙ্কগুলির মূলধনের হার (ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি) উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টে জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ওই হার ২০১৯ সালের মার্চে ছিল ১৪.৩%। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১৫.১%।

পাশাপাশি, ব্যাঙ্ককর্তাদের ঋণদানে ভয় কাটাতেও কেন্দ্র ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান নির্মলা। লক্ষ্য, বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল ও প্রতারণার জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তকে যাতে এক পংক্তিতে ফেলা না হয়, তার ব্যবস্থা করা। তাঁর দাবি, নতুন ব্যবস্থা অফিসারদের মধ্যে কাজের উৎসাহ বাড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement