প্রতীকী ছবি।
দু’বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা শেয়ার মূলধন জোগানোর প্রতিশ্রুতির পরে এ বার তাদের পরিচালন ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে চায় কেন্দ্র। তাদের আশঙ্কা, তা করা না-হলে, শেষমেশ জলে যাবে ওই টাকা। করদাতাদের জোগানো অর্থ ফের নতুন করে চলে যাবে ঋণখেলাপিদের পকেটে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় ধুঁকতে থাকা ব্যাঙ্কগুলিকে অক্সিজেন জোগানো হচ্ছে করদাতাদের টাকায়। তাই কেন্দ্র এখন নিশ্চিত করতে চায় যাতে, ঋণ খেলাপের ওই সমস্যার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। না-হলে, আপাতত সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা পরিষ্কার হলেও, পরে ঋণ খেলাপের সমস্যা ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ২.১১ লক্ষ কোটি মূলধনের মধ্যে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা আসবে বাজারে বন্ড বেচে। আর বাকি ৭৬ হাজার কোটি বাজেট বরাদ্দ থেকে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের প্রয়োজনিয়তার কথা তখনই বলেছেন তিনি। কিন্তু ঋণ দিতে ব্যাঙ্কগুলির উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির প্রসঙ্গ তখন সে ভাবে তোলেননি। অথচ ব্যাঙ্ককর্তাদের মতে, সেটিই তাঁদের মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ।
ব্যাঙ্কিং শিল্পের অনেকেরই মতে, মুখ থুবড়ে পড়া কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্সের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় মাল্য শুধু একটি উদাহরণ মাত্র। অনুৎপাদক সম্পদ তৈরির অন্যতম প্রধান কারণই হল, পছন্দের শিল্পপতিদের ঋণ পাইয়ে দিতে ব্যাঙ্কের উপর (বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত) রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা। এ ভাবে ধার পাওয়া অনেকেই পরে নানা অছিলায় তা শোধ করেন না বলে তাঁদের অভিযোগ। তাই সংস্কারের কথা ভাবা কেন্দ্র সেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে আদৌ কতটা কড়া হতে পারবে, তাতেই নজর ব্যাঙ্কিং শিল্পের।