—ফাইল চিত্র।
আপাতত কিছুটা শান্তি। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড বৈঠকে ফের তার সঙ্গে সংঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না অরুণ জেটলির অর্থ মন্ত্রক। অন্তত মন্ত্রকের কর্তারা তেমনই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেলের উপর বোর্ড ফর ফিনান্সিয়াল সুপারভিশন নতুন করে তৈরি নিয়ে চাপ বাড়াতে চান তাঁরা।
কেন্দ্র চায়, লোকসভা ভোটের আগে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্যাঙ্কগুলি ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের ঢেলে ঋণ দিক। কিন্তু মাত্রাছাড়া অনাদায়ি ঋণের জন্য ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপরে বিধিনিষেধ চাপিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সরকার চায়, তা আলগা করা হোক।
১৯ নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, শীর্ষ ব্যাঙ্কেরই বোর্ড ফর ফিনান্সিয়াল সুপারভিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। যে বোর্ড আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডের সদস্যদের নিয়েই তৈরি একটি উপ কমিটি। এখন সরকারের যুক্তি, ওই উপ কমিটিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে লোকের সংখ্যাই বেশি। গভর্নর, ডেপুটি গভর্নররা ছাড়া অন্য যে দু’জন সদস্য রয়েছেন, তাঁদেরও গভর্নরই বাছাই করেছেন। সরকারের কোনও প্রতিনিধি কার্যত নেই।
সূত্রের খবর, অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা দাবি তুলতে চান, ওই কমিটি নতুন করে হোক। আগেরটির মতামতেই বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছিল। ফের একই কমিটির কাছে বিষয়টি গেলে লাভ হবে না বলে তাঁদের আশঙ্কা।
এ দিকে সূত্রের খবর, সরকারি ব্যাঙ্কগুলির ছোট-মাঝারি শিল্পকে ঋণ দিতে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য ডিসেম্বরে নতুন পুঁজিও জোগানো হবে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কটাক্ষ, ‘‘কেন্দ্র চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছোট-মাঝারি শিল্প, আবাসন শিল্পকে রক্ষা করুক। দু’টি ক্ষেত্রেই খারাপ অবস্থার কারণ নোটবন্দি ও জিএসটি।’’