গম আমদানিতে ১০% শুল্ক বসাচ্ছে কেন্দ্র

আট বছর বাদে ফের আমদানি শুল্ক গমে। দেশে উপচে পড়ছে গমের ভাণ্ডার। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি বেসরকারি এক সংস্থা বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ গম কেনার চুক্তি করায় মুখ পুড়েছে সরকারের। তাদের শুনতে হয়েছে, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করে না-চলার সমালোচনা। আর তারপরই আট বছর বাদে ফের গমে আমদানি শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৫ ০২:৫৮
Share:

আট বছর বাদে ফের আমদানি শুল্ক গমে।

Advertisement

দেশে উপচে পড়ছে গমের ভাণ্ডার। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি বেসরকারি এক সংস্থা বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ গম কেনার চুক্তি করায় মুখ পুড়েছে সরকারের। তাদের শুনতে হয়েছে, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করে না-চলার সমালোচনা। আর তারপরই আট বছর বাদে ফের গমে আমদানি শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

শুক্রবার লোকসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানালেন, এ বার থেকে গম আমদানি করলে তার উপর দিতে হবে ১০% শুল্ক। যা কার্যকর থাকবে আগামী বছরের (২০১৬) মার্চ পর্যন্ত।

Advertisement

আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে চলতি আর্থিক বছরের (২০১৫-’১৬) বাকি সময়ে রাজকোষে আরও প্রায় ৯০ কোটি টাকা আনতে পারবে সরকার।

সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের একাংশের মতে, আমদানি রুখে নিজেদের মুখ রক্ষা করতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। কারণ, সরকারের দেওয়া নানা রকম ভর্তুকির সুবিধা নিয়ে গত সাত বছরে দেশের মাটিতে গমের চাষ হয়েছে চোখে পড়ার মতো। অথচ সেই গম না-কিনে গত জুনেই বেশি দামের ৫ লক্ষ টন অস্ট্রেলীয় গম কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে ভারতের এক বেসরকারি সংস্থা। গম আমদানির পরিমাণের বিচারে গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে যা বৃহত্তম। তারপরই সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। আমদানি আটকে দেশে উৎপাদিত অতিরিক্ত শস্যের বিক্রি নিশ্চিত না-করার জন্য অনেকেই বেঁধেন তাদের। উল্লেখ্য, বিশেষত পাস্তা ও পিৎজা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উঁচু মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ গম কিনতে কিছু আটাকলও এ রকম কিছু আমদানি চুক্তি করেছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে অন্য এক অংশের আবার দাবি, বিদেশ থেকে নীচু মানের গমের ভারতে ঢোকা আটকাতেই তড়িঘড়ি গমে আমদানি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বহু ক্ষেত্রেই ফাস্ট ফুড শিল্পে ব্যবহারের জন্য অনেক ব্যবসায়ী অন্যান্য দেশ থেকে নিম্ন মানের কম দামি গম আমদানি করছেন। নাম গোপন রাখার শর্তে দিল্লির এক ব্যবসায়ী জানান, মান খারাপ হওয়ার কারণে সম্প্রতি প্রায় ৫২,৫০০ টন ফরাসি গম কিনতে অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ। সেই গম এ বার ভারতে ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ সূত্রে খবর মিলেছে, খারিজ হওয়া এ রকম অন্তত এক জাহাজ শস্য ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভারতের তুতিকোরিন বন্দরের দিকে যাত্রা করেছে। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, এই নিম্ন মানের খারিজ পণ্যের সামান্য অংশও ভারতের বাজারে ঢুকুক, সেটা চাইছে না সরকার। যে কারণে চটজলদি এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন