পাটের মানের উন্নতিই লক্ষ্য কেন্দ্রের

জাতীয় পাট পর্ষদ সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের কৃষি, বস্ত্র, বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের নিয়ে গঠিত গোষ্ঠী পাটের মানোন্নয়ন ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসে। সেই বৈঠকেই পাট শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২১
Share:

আমদানি নির্ভরতা নয়। পাটের মান আরও উন্নত করেই চাষিদের আয় বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র।

Advertisement

জাতীয় পাট পর্ষদ সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের কৃষি, বস্ত্র, বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের নিয়ে গঠিত গোষ্ঠী পাটের মানোন্নয়ন ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসে। সেই বৈঠকেই পাট শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে পাটের মানোন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের ‘আইকেয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫৫,০০০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে এই চাষের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সচিবগোষ্ঠী। যার জন্য ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৩৬ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার।

ঘটনা হল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং বিহারে এখন তিন নম্বর মানের (গ্রেড-থ্রি) পাট চাষ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বীজ বোনার সময় থেকে চারা বড় হয়ে গাছ পচানো পর্যন্ত, প্রতিটি ধাপে এমন ভাবে যত্ন নিতে হবে যাতে পাটের মান বৃদ্ধি পেতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে তিন নম্বর থেকে দু’নম্বর পর্যায়ে পাটের সুতোর মানোন্নয়ন হতে পারে। তা হলেই বাইরে থেকে ওই মানের পাট আমদানি করতে হবে না। গত আর্থিক বছরে দু’নম্বর মানের ৬ লক্ষ ২০ হাজার বেল পাট আমদানি করতে হয়েছিল। নতুন ভাবনা অনুযায়ী, পাট চাষে সরকারি ভাবে পরীক্ষিত বীজ দেওয়া থেকে বিভিন্ন যন্ত্র ও পাট ভাল করে জলে পচানোর জন্য রাসায়নিক পদার্থও বিলি করার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

পাট বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পচা জল, কাদায় পাট পচানোর ফলে পশ্চিমবঙ্গে পাটের মান বিশেষ ভাল হয় না। তাই আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে ‘আইকেয়ার’ প্রকল্পে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন