লক্ষ্য পণ্য পরিবহণ নীতি

বুধবার বেঙ্গল চেম্বারে পণ্য পরিবহণ নিয়ে সভায় যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (লজিস্টিক্স) অনন্ত স্বরূপ। তিনি জানান, তাঁদের আপাতত লক্ষ্য দু’টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৮
Share:

লগ্নি টানতে বা ব্যবসার পথ সহজ করতে শুধু উপযুক্ত পরিবেশ আর সরকারি সহায়তাই যথেষ্ট নয়। কম খরচে দ্রুত কাঁচামালের জোগান ও শিল্প সংস্থার তৈরি পণ্য বাজারে পৌঁছনোও ব্যবসা লাভজনক হওয়ার অন্যতম শর্ত। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে লগ্নির পরিবেশ তৈরি ও নানা সরকারি সুবিধায় জোর দেওয়ার পরে এ বার কেন্দ্রের লক্ষ্য পণ্য পরিবহণ। প্রতিটি ক্ষেত্র ধরে শিল্পের ভবিষ্যৎ পণ্য পরিবহণের পরিকল্পনা বুঝে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়তে তাই এ বছরের শেষেই সার্বিক জাতীয় পণ্য পরিবহণ নীতি তৈরি করবে তারা।

Advertisement

বুধবার বেঙ্গল চেম্বারে পণ্য পরিবহণ নিয়ে সভায় যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (লজিস্টিক্স) অনন্ত স্বরূপ। তিনি জানান, তাঁদের আপাতত লক্ষ্য দু’টি। এক ২০৩৫ সালের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে জাতীয় পণ্য পরিবহণ নীতি তৈরি। দুই, সেই সঙ্গে লজিস্টিক্স-এর জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নিয়ে সাধারণ পোর্টাল গড়া। প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা করে শিল্পের কাছে তাঁরা জানতে চাইবেন, ওই সময়ের মধ্যে তাদের লগ্নি বা ব্যবসার পরিকল্পনার ভিত্তিতে পণ্য পরিবহণের চাহিদা কী? কাঁচামাল বা পণ্য, কোনটা কোথা থেকে কোথায় যাবে? সেই সব এলাকায় এখন পরিবহণ ব্যবস্থা কতটা রয়েছে, নতুন করে কোথাও পরিকাঠামো গড়তে হবে কি না, সে সব খতিয়ে দেখা হবে। সেই অনুযায়ী রেল, সড়ক, জাহাজ ইত্যাদি মন্ত্রকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও মিলিয়ে দেখা হবে। এর ফলে পণ্য পরিবহণে গতি বাড়বে। কমবে খরচও। তেমনই বিভিন্ন ছাড়পত্রে নথি সরলীকরণেরও চেষ্টা করা হবে। এ নিয়ে এ মাসে তাঁরা খাদ্য ও ওষুধ শিল্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আমদানি-রফতানিতেও বন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণে কত সময় লাগছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। মার্চের মধ্যে প্রথম রিপোর্ট তৈরি হবে। তারপর তা হবে প্রতি মাসেই। আগামী ১২ জানুয়ারি বিভিন্ন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা।

Advertisement

ভাবনা

• ১০ মাসের মধ্যে জাতীয় পণ্য পরিবহণ নীতি তৈরি

• উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগের দরপত্র চাওয়া হবে শীঘ্রই

• পোর্টালে পণ্য পরিবহণে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে এক ছাতার তলায় আনা

• পোর্টালের ‘ই মার্কেটপ্লেস’-এ সরাসরি ট্রাক বা অন্য পরিবহণ ব্যবস্থা বুক করার সুবিধা

সহজে ব্যবসার মাপকাঠিতে পণ্য পরিবহণের খরচ কম হওয়া সর্বত্রই গুরুত্ব পায়। অনন্তবাবু জানান, জার্মানি ও আমেরিকায় যেখানে জিডিপি-র যথাক্রমে ৮ ও ৯.৫% পণ্য পরিবহণ খাতে খরচ হয়, সেখানে ভারতে তা প্রায় ১৪%। যদিও অনেকের দাবি, এ ক্ষেত্রে কোনও সরকারি মাপকাঠি নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন