প্রত্যন্ত গ্রামেও দ্রুত গতির নেট, পরিকল্পনা কেন্দ্রের

ইন্টারনেট মারফত সারা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামকেও জুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আঁক কষছে ‘ভারত নেট’ প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্রুত গতির (৫ গিগাবাইট) নেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:২৩
Share:

ইনফোকম উদ্বোধনে চিত্রা রামকৃষ্ণ, ওঙ্কার রাই, অরুন্ধতী ভট্টাচার্য, আর এস শর্মা, ডি ডি পুরকায়স্থ (বাঁ দিক থেকে)।—নিজস্ব চিত্র।

ইন্টারনেট মারফত সারা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামকেও জুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আঁক কষছে ‘ভারত নেট’ প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্রুত গতির (৫ গিগাবাইট) নেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার। এবিপি সংস্থা আয়োজিত ইনফোকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এ কথা জানালেন টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শর্মা ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ , স্টেট ব্যাঙ্কের কর্ণধার অরুন্ধতী ভট্টাচার্য, এসটিপিআই কর্তা ওঙ্কার রাই। ছিলেন এবিপি সংস্থার এমডি-সিইও ডি ডি পুরকায়স্থও।

ইনফোকমে এ বারের বিষয় (থিম) সংযুক্ত বিশ্ব (কানেক্টেড ওয়ার্ল্ড)। তার পক্ষে সওয়াল করে শর্মা বলেন, আমজনতার হাতে প্রযুক্তি তুলে দিতে ‘ভারত নেট’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চায় কেন্দ্র। ইনফোকমের সভার পরে তিনি জানান, ‘‘এই প্রকল্পের পরিকাঠামো নির্মাণ এবং পরিষেবায় বেসরকারি ক্ষেত্রকে যুক্ত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সব পক্ষের মতামত চেয়ে কনসাল্টেশন পেপার প্রকাশ করেছি। সেখানে আসা সুপারিশ কেন্দ্রকে জানানো হবে। আশা করি, চলতি মাসের শেষে তা সম্ভব হবে।’’

Advertisement

পরে এমসিসি চেম্বার্সের সভাতেও শর্মা বলেন, দেশে প্রায় আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে নেট সংযোগ পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজের গতি এখনও সন্তোষজনক নয়। তবে তাঁর দাবি, এই প্রকল্প কার্যকর হলে, নেটেই পঞ্চায়েত এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদনের মতো পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।

সংযুক্ত বিশ্বের পক্ষে জোরালো সওয়াল করে শর্মা বলেন, ‘‘জন-ধন, আধার ও মোবাইলের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পরিকল্পনা। তার সাফল্য নির্ভর করছে প্রযুক্তি মানুষের কাছে পৌঁছনোর উপর।’’

সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে চাই কম খরচের প্রযুক্তি। এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার কথা তুলে আনেন শর্মা। তাঁর দাবি, ১০০ টাকা সংগ্রহের খরচ যদি ২০ টাকা দাঁড়ায়, তা হলে সেই পরিষেবা শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাজে আসবে না। যে ভাবে মোবাইলে মিনিট প্রতি কথা বলার খরচ ৪৯ পয়সায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, সে ভাবেই নেট সংযোগের খরচও মানুষের নাগালে আনতে হবে।

চিত্রা রামকৃষ্ণ, অরুন্ধতীদেবী ও ওঙ্কার রাই— তিনজনেই বলেন, উন্নয়নের মুখ প্রযুক্তি। আর প্রযুক্তির হাত ধরেই উন্নয়নে গতি আসবে। প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে দৈনন্দিন জীবনও। যেমন অরুন্ধতীদেবী বলেন, এখন মধ্যরাতেও কেউ এসএমএস করে জানতে পারেন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার অঙ্ক। এর পিছনে আছে জটিল প্রযুক্তি। আসল চ্যালেঞ্জ তাকে সহজে মানুষের কাজে লাগানো। চিত্রা রামকৃষ্ণ বলেন, ‘‘প্রযুক্তি ব্যবহারে খরচ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সে কথা মাথায় রেখেই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন