প্রতীকী ছবি।
শুল্ক যুদ্ধে বিরতি বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আপাতত দূরের গ্রহ। প্রায় রোজই একে অপরকে নতুন নতুন হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা ও চিন। এ বার বেজিং ইঙ্গিত দিল, অতি দুর্লভ খনিজ আমেরিকায় রফতানি কমাতে পারে তারা। মূল্যবান ও উৎকৃষ্ট ওই খনিজগুলি স্মার্ট ফোন, সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার-সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির জরুরি উপকরণ। চিন সত্যিই এই সিদ্ধান্ত নিলে শুল্ক যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মত বিভিন্ন মহলের। কারণ, বিশ্বে খনিজগুলির প্রায় ৯৫% উৎপাদন করে চিন। চাহিদার প্রায় ৮০% চিন থেকেই কেনে আমেরিকা।
আমেরিকায় চিনা সংস্থা হুয়েইয়ের ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। হুয়েই বলেছে, এ নিয়ে মার্কিন আদালতে যাবে তারা। যা নিয়ে টানাপড়েন বাড়ছে দু’দেশের মধ্যে।
এরই মধ্যে চিনা সরকারি সংবাদ- মাধ্যমে ইঙ্গিত, আমেরিকার উপরে চাপ বাড়াতে ওই খনিজের রফতানি কমানো হতে পারে। গত সপ্তাহে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং গুয়াংঝাউ প্রদেশে ওই খনিজ পদার্থের কারখানা দেখতে যান। পরে এক সরকারি কর্তার ইঙ্গিত, খনিজ সম্পদ আগে নিজেদের প্রয়োজনেই ব্যবহার করা উচিত। অন্য দেশের ‘ন্যায়সঙ্গত’ চাহিদা থাকলে বেজিং তা মেটাবে। কিন্তু চিনের উন্নতিতে বাধা হবে, এমন কাউকে তা দিলে দেশের মানুষই অসন্তুষ্ট হবেন।
এ দিকে আবার, যে সমস্ত দেশের মুদ্রায় নজর রাখা হচ্ছে তার মধ্যে চিনকেও রেখেছে আমেরিকা। যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে বেজিং। তবে মুদ্রার দাম কমিয়ে রেখে রফতানিকারীদের সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে সরাসরি করেনি ওয়াশিংটন। যাকে স্বাগত জানিয়েছে চিন।