ভারতের বাজারে জল মাপতে এ বার দেশি-বিদেশি ভোগ্যপণ্য সংস্থার বাজি নেটে কেনাকাটার দুনিয়া।
ক্রেতাদের পছন্দ-অপছন্দের উপরই নির্ভরশীল ভোগ্যপণ্য সংস্থার বাজার। অসংখ্য ব্র্যান্ডের ভিড় ও সাধারণ মানুষের দ্রুত বদলাতে থাকা চাহিদা হালে সেই নির্ভরশীলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতা-মনের হদিস পেতে অনলাইন বাজারকেই মুশকিল আসান হিসেবে বেছে নিচ্ছে ভোগ্যপণ্য শিল্প। যে পথে আগেই হেঁটেছে মোবাইল সংস্থাগুলি।
ব্রিটানিয়া, মারিকো, কোকা-কোলা, পেপসিকো-র মতো সংস্থা বলছে, মাউসের ক্লিকেই ক্রেতারা এখন জানান কোন নেট বাজারে কী ধরনের পণ্য কিনতে ঢুকছেন তাঁরা। ফলে এই মাধ্যমে কম খরচে দ্রুত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। ঝক্কিও কম। তাই ব্রিটানিয়া তাদের দামি ব্র্যান্ড গুড ডে চাঙ্কিজ প্রথমে এনেছিল নেট বাজারে, অ্যামাজন মারফত। সংস্থার দাবি, নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাওয়ার এই মাধ্যম কাজে এসেছিল। একই পথে হেঁটেছে মারিকো-র লিভন। পেপসিকো-ও এই বাণিজ্যিক কৌশল নিতে পিছপা হয়নি।
ভোগ্যপণ্যের বাজার ধরতে ক্রেতার নিত্য বদলে যাওয়া পছন্দ-অপছন্দের খবর রাখা জরুরি হয়ে উঠছে, দাবি বিপণন বিশেষজ্ঞদেরও। বিশেষত বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের সমীক্ষা যেখানে জানাচ্ছে, ৪,৯০০ কোটি ডলারের ভোগ্যপণ্যের বাজার ২০২০ সালে দাঁড়াবে ১০,৪০০ কোটিতে। প্রত্যাশিত বৃদ্ধির হার ১১২%। ফলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই বিপুল সম্ভাবনা দ্রুত কাজে লাগাতে নেট বাজারের জুড়ি নেই বলেই মানছে শিল্পমহল।
ইট-কাঠ-পাথরের দোকানের আগে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিলের মতো নেট বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করে মূলত মোবাইল সংস্থাগুলি। শাওমি, অনার, লেনোভোর মতো ব্র্যান্ডের প্রথম পছন্দ নেট বিপণি। পাইকারি ও খুচরো বিপণন সংস্থা নিয়ে তৈরি প্রথাগত বণ্টন ব্যবস্থা না-থাকলেও এই সুবিধা নেওয়া যায়।
অ্যামাজনের দাবি, নেট-বাজারে কোথায় কী বিক্রি হচ্ছে বা কারা কোনটা কিনছেন, তা নিমেষে জানা যায়। ভারতে সংস্থার অন্যতম কর্তা সৌরভ শ্রীবাস্তবের দাবি, ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি তাই পুরোদস্তুর বিপণনে নামার আগে চাহিদা যাচাইয়ে কাজে লাগাচ্ছে নেট বাজারকে।