Coronavirus

বিদ্যুৎ বিলের স্থায়ী খরচ মকুব চায় শিল্প

রাজ্যের এক বিদ্যুৎ কর্তা জানিয়েছেন, কোনও কারণে কোনও সংস্থার যদি বিদ্যুৎ খরচ না-ও হয়, তা হলেও শিল্পের নিয়ম অনুযায়ী তাকে কিছু স্থায়ী খরচ মেটাতে হয়।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৫:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউনের জেরে রাজ্যের প্রায় সব কল-কারখানা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হলেও, আর্থিক ভাবে বহু সংস্থাই এখন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। এই অবস্থায় কারখানা বা অফিসে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বাইরেও সংস্থাগুলিকে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য যে স্থায়ী খরচ বা ‘ফিক্সড চার্জ’ গুনতে হয়, আগামী কয়েক মাস তা মকুবের দাবি উঠেছে শিল্পের তরফে। ফিকি-র মতো বণিকসভা রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আর্জি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বক্তব্য, শিল্প ক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদা এখন কার্যত তলানিতে। এই অবস্থায় স্থায়ী খরচ যদি মকুব করা হয়, তা হলে উল্টে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা চাপে পড়ে যাবে। নগদের সমস্যা তৈরি হবে তাদের।

Advertisement

রাজ্যের এক বিদ্যুৎ কর্তা জানিয়েছেন, কোনও কারণে কোনও সংস্থার যদি বিদ্যুৎ খরচ না-ও হয়, তা হলেও শিল্পের নিয়ম অনুযায়ী তাকে কিছু স্থায়ী খরচ মেটাতে হয়। কারণ, সংস্থাটিতে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর পরিকাঠামো, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের সব রকম ব্যবস্থা করে রাখতে হয় বণ্টন সংস্থাকে। লকডাউনের ফলে অধিকাংশ কারখানায় এখন উৎপাদন বন্ধ। ফলে বিদ্যুতের বিল নামমাত্র। তা মেটাতে সংস্থাগুলি রাজি থাকলেও, মার্চ থেকে স্থায়ী খরচ মকুবের দাবি তুলেছে তারা। আর তাতেই আরও সমস্যায় পড়েছে ডিভিসি-সহ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।

শিল্প মহলের খবর, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই শিল্প সংস্থাগুলি তাদের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও কমিশনগুলির কাছে এই স্থায়ী খরচের ছাড়ের দাবি তুলতে শুরু করেছে। কারণ, বিলের অনুপাতে ওই খরচ খুব কম নয়। মাঝারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে স্থায়ী খরচ মোট বিলের প্রায় ১৫-২০% হলেও, বড় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে তা অনেক সময়ে ৩০-৩৫% হয়ে যায়।

Advertisement

বিদ্যুৎ ভবনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, সংস্থাগুলির আবেদনের ভিত্তিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কী সিদ্ধান্ত হয় তা কয়েক দিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে। ডিভিসি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন যা নির্দেশ দেবে, সেই মতো তারা পদক্ষেপ করবে।

আরও পড়ুন: সমস্যার কথা তুলে ধরবে ইউনিয়নগুলি

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন