প্রতীকী ছবি।
পাশে সমুদ্র নেই। তাই পাকিস্তান থেকে চিনি বা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা-সহ নেপালে আমদানি করা যাবতীয় পণ্য প্রথমে জাহাজে চেপে আসে কলকাতা বন্দরে। সেখান থেকে ভারতের শুল্ক দফতরের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে ট্রেনে বা সড়ক পথে পাঠানো হয় নেপালে। এ বার পরীক্ষামূলক ভাবে সেই সব মালবাহী কন্টেনারে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) বসিয়ে নজরদারি চালাবে শুল্ক দফতর। যতক্ষণ না ভারত-নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে গাড়ি সে দেশে ঢুকছে, ততক্ষণ। এই ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) নামের ব্যবস্থাটির লক্ষ্য, মাঝপথে কন্টেনার খুলে মালপত্র চুরি যাওয়ার ঘটনা আটকানো।
শুধু কলকাতা নয়, নেপালে বেশ কিছু পণ্য আমদানি হয় বিশাখাপত্তনম বন্দর দিয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, সেখান থেকে নেপালগামী কন্টেনারেও একই ভাবে চলবে নজরদারি।
বন্দর থেকে বেরোনোর আগে ভারতের শুল্ক দফতর যখন প্রতিটি কন্টেনার সিল করবে, তখনই তাতে বসানো হবে এই জিপিএস। পনেরো মিনিট অন্তর যা সেই কন্টেনারের অবস্থান জানাবে।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা বন্দর থেকে মাল বোঝাই হয়ে বেরোনোর পরে বেশ কয়েকবার মাঝপথে কন্টেনার থেকে পণ্য চুরি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ মারফত সে কথা জানতে পারে দফতর। ফলে বিষয়টি নিয়ে সব সময়ই সন্ত্রস্ত থাকতে হচ্ছিল অফিসারদের। একাংশের আবার আশঙ্কা ছিল, জিনিসগুলি ফের ভারতের বাজারেই ঢোকানো হচ্ছে কি না।
শুল্ক অফিসারদের কথায়, ‘‘কলকাতা বন্দর থেকে বেরিয়ে উত্তরবঙ্গের মূলত তিনটি জায়গা দিয়ে পণ্য নেপালে ঢোকে। নকশালবাড়ি, যোগবানি, রকসল। ওই সব সীমান্ত দিয়ে পণ্য নেপালে ঢোকার মুখে একমাত্র নিশ্চিন্ত হতে পারি আমরা। কারণ দফতরের অফিসারেরা তখন ফের পরীক্ষা করে দেখেন পণ্য পৌঁছল কি না। কিন্তু মাঝে প্রায় ৭ থেকে ১০ দিন লেগে যায় সেখানে পৌঁছতে।’’ এ বার পুরো রাস্তাতেই নজরদারি চলবে।
সূত্রটির দাবি, আপাতত পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়েছে এটি। আগামী তিন মাসে তা সফল হলে পরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত বছর জুনে ইসিটিএস নিয়ে চুক্তি হয়েছে নেপাল ও ভারতের।