আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার কয়েক বছর ধরেই বাড়ছিল। সম্প্রতি বড় অঙ্কের নোট বাতিলের পরে অনলাইন লেনদেন বেড়েছে। এই অবস্থায় সাইবার নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘ইনফোকম ২০১৬’-য় সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইনফর্ম্যাটিক্স সাইবার সিকিউরিটি’-র সিইও রাকেশ আস্থানা জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ক্রমাগত সাইবার নিরাপত্তার জন্য নজরদারি করতে হবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে ব্যবসা বাড়াতে চাইছে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি। বাজারে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পেমেন্টস ব্যাঙ্ক ও অনলাইন ওয়ালেট সংস্থাগুলিও। রাকেশ আস্থানার মতে, ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানে মানুষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথিবদ্ধ থাকে। ফলে সেগুলির সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন অনেকেই নিয়মিত নেট ব্যাঙ্কিং, অনলাইন ওয়ালেটে লেনদেন করেন। নেট লেনদেন ছোট রেস্তোরাঁ বা মুদি-পানের দোকানেও চলে। কিন্তু তা করতে গেলে কম্পিউটার এবং মোবাইলে যে-সুরক্ষাকবচ প্রয়োজন হয়, তা নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। অথচ ব্যবহারকারীদের সচেতনতা না-বাড়লে সাইবার অপরাধীরা টাকা হাতাতে পারে।
বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থাও ডিজিটাল প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে। বিশেষত বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থাগুলি ডি়জিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘স্মার্ট গ্রিড’ তৈরি করছে। ফলে তাদের তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও জোর দিচ্ছেন অনেকে। অনুষ্ঠানের ফাঁকে সিইএসসি-র ডেপুটি ম্যানেজার পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘স্মার্ট গ্রিডে যাওয়ার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সবই নিচ্ছি।’’ বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারণা, কর্পোরেট সংস্থার ক্ষেত্রে সাইবার হানার আশঙ্কা মাপাও দরকার। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই এই হানা চালিয়ে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকারেরা।