রতন টাটা এবং সাইরাস মিস্ত্রি।—ফাইল চিত্র।
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। গোষ্ঠীর অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে চার মাসের জন্য রতন টাটাকে নিয়োগ করেছে টাটা সন্স বোর্ড। সোমবার টাটা সন্সের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এ দিন টাটা সন্সের বোর্ড মিটিং ছিল। সাইরাসের ইস্তফার পরে বোর্ড একটি সার্চ কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিতে রতন টাটা-সহ পাঁচ সদস্য রয়েছেন। তাঁরাই আগামী চার মাসের মধ্যে টাটা গোষ্ঠীর পরবর্তী চেয়ারম্যানকে বাছাই করবেন।
২০১২-র ডিসেম্বরে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার হিসেবে দায়িত্ব নেন সাইরাস। রতন টাটার পরেই তাঁর সিংহাসনে বসেন শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর কর্ণধার পালোনজি মিস্ত্রির ছোট ছেলে সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রি। তার আগে তিনি গোষ্ঠীর ডেপুটি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। প্রায় এক বছর রতন টাটার পাশে পাশে থেকে তিনি শিখেছিলেন সংস্থা পরিচালনার খুঁটিনাটি।
যে সময়ে সাইরাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তার কিছু দিন আগেই সংস্থার কর্ণধার হিসেবে অব্যাহতির কথা ঘোষণা করেছিলেন রতন টাটা। সেই সময়ে তিনি বলতেন টাটা গোষ্ঠীর দায়িত্ব এমন কারও হাতেই যাওয়া উচিত, যাঁর বয়স তুলনায় কম। বহু দিন নেতৃত্ব দিতে পারবেন। সাইরাসের আগে ১৯৩২-’৩৮ সালেই শুধু গোষ্ঠীর ভার সামলেছিলেন এমন এক জন, যাঁর পদবীতে ‘টাটা’ ছিল না। তাঁর নাম নৌরজি সাকলাতওয়ালা। তবে তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজি-র ভাগ্নে। সাইরাস ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যাঁর হাতে গিয়েছিল টাটা গোষ্ঠীর কর্তৃত্ব।
সাইরাস লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ অফ সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেডিসিন থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করেছেন লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে। ১৯৯১-এ শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার পর আরও বাড়িয়েছেন ব্যবসা। গত ২০০৬ থেকে ছিলেন টাটা সন্সের পর্ষদেও।
কিন্তু কী কারণে চেয়ারম্যানের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সাইরাস, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
আরও খবর...