Small scale industry

ছোট শিল্পের জন্য জেলাতেও সহায়তা পরিষদ তৈরির দাবি

ক্ষুদ্র বা ছোট সংস্থা ক্রেতার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া টাকা না পেলে সহায়তা পরিষদে আবেদন জানাতে পারে। পরিষদ গোড়ায় আলোচনার মাধ্যমে পাওনা মেটানোর চেষ্টা করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৭:১৫
Share:

ক্ষুদ্র বা ছোট সংস্থা ক্রেতার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া টাকা না পেলে সহায়তা পরিষদে আবেদন জানাতে পারে। ফাইল চিত্র।

ক্রেতাকে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির পরে চুক্তি মতো টাকা না পাওয়ায় বহু ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আবার অনেক ক্ষেত্রে এত দেরিতে বকেয়া টাকা হাতে আসে যে, ব্যবসা চালানোর কার্যকরী মূলধন জোগাড় করতেই হিমশিম খায় তারা। এর সুরাহায় কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলিতে বিশেষ সহায়তা পরিষদ (ফেসিলিটেশন কাউন্সিল) চালু হয়েছে বেশ কিছু দিন হল। পশ্চিমবঙ্গের পরিষদটি রয়েছে কলকাতায়। কিন্তু ক্ষুদ্র-ছোট শিল্পমহলের একাংশের দাবি, জেলাগুলিতেই বেশি সংস্থা রয়েছে তাদের। তাই কলকাতার বাইরে অন্যত্রও পরিষদের শাখা খুললে আবেদন জানানো সহজ হবে। এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ খুলবে আরও বেশি সংস্থার সামনে। উল্লেখ্য, এই সুবিধা পায় উৎপাদন শিল্প এবং পরিষেবা ক্ষেত্র। ব্যবসায়ীরা নন।

Advertisement

ক্ষুদ্র বা ছোট সংস্থা ক্রেতার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া টাকা না পেলে সহায়তা পরিষদে আবেদন জানাতে পারে। পরিষদ গোড়ায় আলোচনার মাধ্যমে পাওনা মেটানোর চেষ্টা করে। তা ব্যর্থ হলে বিষয়টি সালিশি প্রক্রিয়ায় যায় এবং পরিষদের নির্দেশ মতো ক্রেতাকে শর্ত সাপেক্ষে সুদ সমেত বিক্রেতার আসল টাকা মেটাতে হয়। সুদের হিসাব হয় বিক্রির ৪৫ দিন পর থেকে।

অন্য রাজ্যে একাধিক পরিষদ থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গে একটি। দুর্গাপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুব্রত লাহা, বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের শিল্প-কমিটির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখের বক্তব্য, দক্ষিণ বা উত্তরবঙ্গ থেকে ছোট সংস্থাগুলিকে এই সুবিধা নিতে কলকাতায় যেতে হয়। তাদের পুঁজির জোর এমনিতেই কম। ছোটাছুটি করাও মুশকিল। তাই বিভিন্ন জেলাতেও পরিষদের শাখা থাকা জরুরি। সুব্রতবাবু জানান, গত দু’তিন বছরে দুর্গাপুরের ১৫-১৬টি সংস্থা আবেদন করেছিল। চারটির বকেয়া মিটেছে। কয়েকটির অভিযোগ সালিশিতে গিয়েছে। ভুক্তভোগী আরও ৭-৮টি আবেদন জানাতে পারে। বর্ধমানে শাখা থাকলে তাদের সুবিধা হয়। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সেই আর্জিও জানান তাঁরা।

Advertisement

সূত্রের খবর, গত অর্থবর্ষে ২৭১টি আবেদনের মধ্যে মধ্যস্থতাতেই সমস্যা মিটেছে ২৫৩টির। আদায় হয়েছে ৮৪.৫৩ কোটি টাকা। বাকিগুলিতে সালিশি প্রক্রিয়ায় ক্রেতা সংস্থাগুলিকে ৬.৫২ কোটি মেটাতে বলেছে পরিষদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন