সরকারি বন্ডের চাহিদা কমছে। তার ফলে ধার করার জন্য বাজারে ছাড়া সরকারি বন্ডে কেন্দ্রকে অনেক বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে। চাপের মুখে আজ অর্থ মন্ত্রকের পরিকল্পনা, বাজেটে নতুন অর্থ বছরে যে ৬.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সরকারি বন্ড বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার থেকে ৫০ হাজার কোটির বন্ড কম ছাড়া হবে। তার বদলে রাজকোষ ঘাটতি মেটাতে জাতীয় স্বল্প সঞ্চয় তহবিল থেকে এক লক্ষ কোটি ব্যবহার করা হবে। বাজেটে এই তহবিল থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার প্রস্তাব ছিল।
অর্থ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের পরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, এর ফলে কি স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার বাড়বে? অর্থ বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ অবশ্য আজই তার প্রতিশ্রুতি দিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, এপ্রিল থেকে জুনের স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ নিয়ে ২৮ মার্চ সিদ্ধান্ত হবে। তবে স্বল্প সঞ্চয়ের পরিমাণ এমনিতে কম নয় বলেই তাঁর যুক্তি।
আজ অর্থ মন্ত্রক খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারের সঙ্গে যুক্ত সরকারি বন্ডও আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রক ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মিলিত সিদ্ধান্ত, বাজারে যেহেতু সরকারি বন্ডের চাহিদা তেমন নেই, সে কারণে নতুন অর্থ বছরের প্রথম ছ’মাসে মাত্র ২.৮৮ লক্ষ কোটি টাকার বন্ড ছাড়া হবে। যা মোট অর্থবর্ষের ৪৭%। গত ১০ বছরে এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে এত কম পরিমাণ সরকারি বন্ড বাজারে ছাড়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, গত ছ’মাসে বন্ডে সুদের হার প্রায় ১০০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। যার মূল কারণ, সরকারি বন্ডের প্রধান ক্রেতা সরকারি ব্যাঙ্কগুলিই তেমন আগ্রহ দেখায়নি।
গর্গের যুক্তি, আগামী বছর রাজকোষ ঘাটতি ৩.৩ শতাংশেই বাঁধা থাকবে। চলতি অর্থ বছরে ঘাটতি মোকাবিলায় ২-৩ দিনের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে আরও ডিভিডেন্ড আশা করছে অর্থ মন্ত্রক। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৩০,৬৫৯ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।