মিউচুয়াল ফান্ড এবং এসআইপিতে লগ্নি ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু শেয়ার বাজার ভিত্তিক প্রকল্পগুলির অধিকাংশকেই ২০১৮ সালে গুনতে হয়েছে লোকসান। ঋণপত্র ভিত্তিক প্রকল্পের চিত্র অবশ্য উল্টো। সেখানে সিংহভাগ প্রকল্পেই মুনাফার হার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন বছরেও এই চিত্র পাল্টানোর সম্ভাবনা কম।
মূল্যায়ন সংস্থা ইকরার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে শেয়ার বাজার ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ড প্রকল্পে আয় বেড়েছিল প্রায় ৪৫%। সেখানে ২০১৮ সালে ওই সব প্রকল্পে লোকসান হয়েছে প্রায় ২০%। বিশেষ করে ছোট (স্মল ক্যাপ) ও মাঝারি (মিড ক্যাপ) মূলধনের সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়ার ফলেই সাধারণ ভাবে মার খেয়েছে শেয়ার বাজার ভিত্তিক প্রকল্পগুলি। আইডিএফসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার বিশাল কপূরের কথায়, ‘‘২০১৮ সালে সেনসেক্স এবং নিফ্টির অন্তর্গত সংস্থাগুলির শেয়ারের গড় দামের তেমন হেরফের হয়নি। কিন্তু ছোট ও মাঝারি মূলধনের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমেছে ৩০% পর্যন্ত। যার ফলে শেয়ার বাজার ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সার্বিক ভাবে লোকসানের মুখে পড়েছে।’’
২০১৮ সাল শেয়ার বাজারের পক্ষে ভাল না চলার পেছনে একাধিক কারণ আছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যদি মূল কারণ হয় বাণিজ্য যুদ্ধ, তা হলে দেশে ব্যাঙ্কিং শিল্পের সমস্যার জের পড়েছে শিল্প সংস্থাগুলির উপরে। যার আঁচ থেকে রক্ষা পায়নি বাজার।
ভ্যালু রিসার্চের চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার ধীরেন্দ্র কুমার অবশ্য বলছেন, ‘‘সার্বিক ভাবে ২০১৮ সালে শেয়ার বাজার ভিত্তিক ফান্ডগুলি লোকসান করেছে ২০ শতাংশের মতো। কিন্তু ২০১৭ সালেই ওই প্রকল্পে মুনাফা ছিল প্রায় ৪৫%। তাই এক বছরের হিসাব দেখেই বাজার ভিত্তিক ফান্ডের বিচার করা ঠিক নয়।’’