গত দু’দশকে আর্থিক সংস্কারের দৌলতে বৃদ্ধির চাকায় গতি এসেছে ভারতে। যার গড় হার ছুঁয়েছে প্রায় ৭%। অথচ কর্মীদের বেতন এখনও কম। জানাল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রিপোর্ট। বলা হয়েছে, পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের বেতন বৈষম্যের কথাও।
আইএলও-র দাবি, সকলকে উন্নয়নে সামিল করা ও কাজের সুস্থ পরিবেশ তৈরির রাস্তায় এই দু’টিই মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে। কারণ পারিশ্রমিক সব চেয়ে কম পান গাঁ-গঞ্জের মহিলারাই। যে কারণে এ দেশে জোরালো ভাবে বেতন আইন রূপায়ণের সওয়াল করেছে শ্রম সংস্থা। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের কর্পোরেট দুনিয়ায় স্বীকৃত ভারতীয় মেধা। অনেকগুলিতেই ক্ষমতার অলিন্দে কড়া নাড়ছেন মহিলারা। ভাঙছেন ‘গ্লাস সিলিং’। অর্থাৎ এই বিশ্বাস যে, বড় কর্পোরেট সংস্থার বোর্ড রুমে একচেটিয়া আধিপত্য পুরুষদেরই। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই অবস্থায় রিপোর্টটি দেশে সাধারণ কর্মক্ষেত্রের বাস্তব চেহারাটাই স্পষ্ট করেছে।
যদিও আইএলওর দাবি, ১৯৯৩-৯৪ থেকে ২০১১-১২ সালের মধ্যে ভারতে প্রকৃত গড় বেতন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গ্রামে বেতন বৃদ্ধির হার মাথা তুলেছে শহরের থেকে দ্রুত গতিতে। কিন্তু সামগ্রিক বেতনে বহু যোজন এগিয়ে শহর। যা বৈষম্যেরই ইঙ্গিত।
রিপোর্ট বলছে
• ভারতে কর্মী, বিশেষত মহিলাদের বেতন কম। সে ক্ষেত্রে বহাল বৈষম্যও।
• ৬২% নিযুক্ত চুক্তির ভিত্তিতে।
• মোট কর্মীর ৪৭% কৃষিতে।
• গ্রামে চুক্তি ভিত্তিক মহিলা কর্মীদের বেতন সব চেয়ে কম।
• সারা দেশে ন্যূনতম বেতনের ১,৭০৯টি হার। পুরো ব্যবস্থাটিও জটিল।
• আইনত বাধ্যতামূলক হয়নি জাতীয় ন্যূনতম বেতন।
তবে...
• বৃদ্ধির দৌলতে কমেছে দারিদ্র।
• শিল্পে বিশেষত পরিষেবায় নিয়োগ বেড়েছে।
• বেড়েছে সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও।