নোট বাতিলের পরে চালু নতুন পাঁচশো, দু’হাজারের নোটের নক্শা, মাপ ইত্যাদির ফারাক নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নে মঙ্গলবার দিনভর উত্তাল রইল রাজ্যসভা। ভেস্তে গেল কাজ। দিনের শেষে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সভার বাইরে দাবি করলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুরনো নোটেও এ ধরনের তফাত দেখা যায়। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী তা বললেন না কেন? চোখের সামনে অধিবেশন ভেস্তে যেতে দেখেও দিনভর কেন জেটলি চুপ করে রইলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খেল রাজনৈতিক মহলে।
* আলাদা সিরিজের দু’টি নোটের তুলনা
এ দিন রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল অভিযোগ তোলেন, নতুন পাঁচশো, দু’হাজারের নোটের দৈর্ঘ্য, বর্ডারের মাপ, ব্লিড লাইনের মাপ, ‘মহাত্মা গাঁধী’ লেখা, অশোকস্তম্ভের অবস্থান ইত্যাদির মধ্যে ফারাক আছে। এমনকী তফাত চোখে পড়ছে একই সিরিজের পরপর দু’টি নম্বরের নোটেও। যেখানে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন সিব্বল-সহ বিরোধীরা। সিব্বলের কটাক্ষ, কেন্দ্রের নির্দেশেই সরকার ও দলের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দু’ধরনের নোট ছাপছে। শরদ যাদব, ডেরেক ও’ব্রায়েনরাও এ নিয়ে হল্লা করে রাজ্যসভা অচল করেন।
বস্তুত, নোটে রকমফের থাকার কথা আগেও উঠেছিল। তখন সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, এ ধরনের পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে সব নোটই আসল। এ নিয়ে মানুষ যেন অযথা শঙ্কিত না হন। নোটের রকম-ফের থাকলেও, তা জাল নয় বলে এ দিন স্পষ্ট জানিয়েছেন সিব্বলও।