কারণ ছাড়া লোডশেডিং হলেই জরিমানার ভাবনা

সিংহ বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ মাসুলে ১৫% পর্যন্ত ক্ষতির হার মানা যেতে পারে। তার বেশি নয়। না-হলে বিদ্যুৎ মাসুলে তা ধরা যাবে না।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আগামী ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে দেশের প্রতিটি পরিবারে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ জোগানোর লক্ষ্য ছুঁতে কোমর বেঁধেছে কেন্দ্র। এই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহের দাবি, এ ভাবে নাগাড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে সমস্ত রাজ্যের বণ্টন সংস্থাকেই রাজস্ব ক্ষতির হার কমাতে হবে। যা ১৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোথাও বিনা কারণে লোডশেডিং হলে জরিমানার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে এ দিন জানান সিংহ।

Advertisement

সব রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের নিয়ে এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই তাঁর ইঙ্গিত, প্রতিটি পরিবারে নাগাড়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে অকারণের লোডশেডিং যাতে কাঁটা না-হয়, তাই কড়া হতে চায় কেন্দ্র। যে কারণে ভাবা হচ্ছে জরিমানা বসানোর কথা। তবে একই সঙ্গে তাঁর অভিমত, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জোগানের জন্য পরিষেবার পেছনে সরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলিকে যে ক্ষতি গুনতে হয়, তা ১৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা দরকার। যে কারণে সব রাজ্যকেই ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে ক্ষতির বহর কমিয়ে আনার কথা বলেছেন তিনি।

সিংহ বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ মাসুলে ১৫% পর্যন্ত ক্ষতির হার মানা যেতে পারে। তার বেশি নয়। না-হলে বিদ্যুৎ মাসুলে তা ধরা যাবে না।’’ তাঁর ইঙ্গিত, কেউ বিদ্যুৎ চুরি করবে, আর তার দায় গ্রাহকদের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে তা হতে দেওয়া যায় না।

Advertisement

কেন্দ্র বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের বণ্টন সংস্থাগুলির ক্ষতির বহর কমিয়ে আনায় জোর দিচ্ছে। সে জন্য তারা বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ রাজ্যের ‘ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লস’ এখনও ১৫ শতাংশের অনেক উপরে। আর সেই ক্ষতির বহর মাসুলে শোধ করতে হয় সাধারণ গ্রাহকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন