সেবির নিষেধাজ্ঞার জের

ডিএলএফের শেয়ার দর এক ধাক্কায় পড়ল ২৮%

বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র নির্দেশের জেরে মঙ্গলবার ডিএলএফের শেয়ার দর এক ধাক্কায় পড়ে গেল ২৮.৪৬%। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে দেশের ওই অগ্রণী আবাসন নির্মাণ সংস্থার শেয়ার দর ছিল ১০৪.৯৫ টাকা। ডিএলএফ ২০০৭ সালে বাজারে শেয়ার ছাড়ার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য গোপন করেছে বলে সোমবারই রায় দিয়েছে সেবি। এর জন্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে তাদের নির্দেশ, তারা আগামী ৩ বছর বাজারে শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ছাড়া-সহ সেবি-র আওতায় থাকা কোনও আর্থিক ক্ষেত্র থেকে টাকা তুলে পারবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১১
Share:

বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র নির্দেশের জেরে মঙ্গলবার ডিএলএফের শেয়ার দর এক ধাক্কায় পড়ে গেল ২৮.৪৬%। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে দেশের ওই অগ্রণী আবাসন নির্মাণ সংস্থার শেয়ার দর ছিল ১০৪.৯৫ টাকা।

Advertisement

ডিএলএফ ২০০৭ সালে বাজারে শেয়ার ছাড়ার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য গোপন করেছে বলে সোমবারই রায় দিয়েছে সেবি। এর জন্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে তাদের নির্দেশ, তারা আগামী ৩ বছর বাজারে শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ছাড়া-সহ সেবি-র আওতায় থাকা কোনও আর্থিক ক্ষেত্র থেকে টাকা তুলে পারবে না। শুধু তাই নয়, রেহাই দেওয়া হয়নি সংস্থার শীর্ষ পরিচালকদেরও। সেবি-র নির্দেশ অনুযায়ী সংস্থার চেয়ারম্যান-সহ শীর্ষস্থানীয় ৬ জন ডিরেক্টর শেয়ার বা বন্ডের বাজারে আগামী ৩ বছর কোনও লেনদেন করতে পারবেন না।

সেবি-র এই নির্দেশের জের স্বাভাবিক ভাবেই পড়েছে সংস্থার শেয়ার দরে। এ দিন আতঙ্কিত হয়ে লগ্নিকারীরা হাতে থাকা ডিএলএফ শেয়ার বিক্রি করতে থাকেন। যার ফলে হু হু করে পড়তে থাকে সংস্থার শেয়ারের দাম।

Advertisement

ডিএলএফের শেয়ার বিক্রির বিরূপ প্রভাব পড়েছে অন্য বেশ কিছু নির্মাণ সংস্থার শেয়ার দরের উপরেও। এর জেরে পতন হয়েছে সূচকেরও। মূল্যবৃদ্ধির হার কমার পাশাপাশি রিলায়্যান্সের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল খুশি করেছে লগ্নিকারীদের। স্বাভাবিক অবস্থায় এই পরিস্থিতিতে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু ডিলএফের শেয়ার দরের পতন সূচকের পারাকে টেনে নামিয়ে আনে।

এ দিন লেনদেনের শুরুতে শেয়ার বাজার চাঙ্গাই ছিল। কিন্তু পরে ডিএলএফের শেয়ার বিক্রি বাড়ার বিরূপ প্রভাব পড়ে সূচকের উপর। এক সময়ে সেনসেক্স উঠে গিয়েছিল ২৬,৫৫০.৭৯ অঙ্কে। কিন্তু পরে তা দ্রুত নেমে আসে। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক আগের দিনের থেকে ৩৪.৭৪ পয়েন্ট পড়ে এসে দাঁড়ায় ২৬,৩৪৯.৩৩ অঙ্কে। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও এ দিন ৩১ পয়সা কমেছে। ফলে বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১.৪১ টাকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন