শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটনে আমেরিকা এবং চিনের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের মাঝেই বেজিংকে আক্রমণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকাকে কার্যত ‘নিংড়ে’ কোটি কোটি ডলার ঘরে তুলছে চিন। বৈঠকের সাফল্য সম্পর্কেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ‘‘চিন প্রতি বছর আমেরিকা থেকে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে। প্রসিডেন্ট শি-কে (চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং) আমি বলেছি, এ ভাবে চলতে পারে না।’’ বৈঠক সফল হবে কি না, সেই প্রসঙ্গেও ট্রাম্পের দাবি, ‘‘আমি তেমন আশাবাদী নই।’’
এই অবস্থায় বৈঠকে চিন ২০,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য কেনার প্রস্তাব দিতে পারে বলে খবর। এতে আমেরিকার সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমবে।এর পাশাপাশি মার্কিন পণ্যে শাস্তিমূলক শুল্ক বসানো নিয়ে তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছে বেজিং। মার্কিন সংস্থাকে দিয়েছে তোশিবার মেমোরি চিপের ব্যবসা কেনার ছাড়পত্র। সংশ্লিষ্ট মহল তাই বলছে, চিন নরম হলেও, ট্রাম্প হুমকি ও আক্রমণ বহাল রেখে আসলে হয়তো বেজিংয়ের উপর চাপ বজায় রাখার কৌশলই নিচ্ছেন। যদিও এখন আলোচনার মাধ্যমেই শুল্কের লড়াই মেটানোর পথ নিয়েছে দু’পক্ষ। বেজিংয়ে এক দফা বৈঠকের পরে ওয়াশিংটনে দু’দিনের বৈঠক শুক্রবার শেষ হয়।
এ দিকে, জুনে আমেরিকায় লগ্নি সম্মেলনে ভারতীয় শিল্পমহলকেও আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সে সম্পর্কে বিশদ জানানোর ফাঁকে শুল্ক নিয়ে আজ কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল জানান, দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থেই ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা।