বাইকের পরে হুইস্কি, ফের তোপ ভারতকে 

হার্লে ডেভিডসনের মতো দামি মোটরসাইকেলের পরে হুইস্কি। ফের চড়া শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তোপের মুখে পড়ল ‘বন্ধু দেশ’ ভারত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১৩
Share:

প্রমাণ: শুল্কের পার্থক্যের ছবি তুলে ধরে বিভিন্ন দেশকে একহাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউসে। রয়টার্স

হার্লে ডেভিডসনের মতো দামি মোটরসাইকেলের পরে হুইস্কি। ফের চড়া শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তোপের মুখে পড়ল ‘বন্ধু দেশ’ ভারত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে বাণিজ্য নিয়ে নতুন আইন আনার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যেখানে শুল্কের হারের বিচারে কোনও দেশের সঙ্গে খুব বেশি তফাৎ হলে, সম-পরিমাণ কর চাপানোর অধিকার থাকবে মার্কিন মুলুকের। এই অনুষ্ঠানেই নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে ভারত, জাপান, চিন-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন আমদানি শুল্কের তুলনা করা একটি সবুজ বোর্ড তুলে ধরেন তিনি। দাবি করেন, ভারতের মতো বহু দেশ দীর্ঘ দিন ধরে কম মার্কিন শুল্কের সুবিধা নিয়ে আসছে। তিনি বলেন, মাত্র দু’মিনিটের কথায় ভারত দামি বিদেশি মোটরসাইকেলের শুল্ক ১০০% থেকে কমিয়ে ৫০% করেছে। যা আমেরিকার ২.৪ শতাংশের চেয়ে অনেকটা বেশি হলেও, আগের তুলনায় ভাল। আর এর পরেই হুইস্কি নিয়ে তোপ দাগেন ট্রাম্প। বলেন, ভারতে শুল্ক খুব চড়া। আমদানি করা হুইস্কিতে ভারত ১৫০% কর পেলেও, আমেরিকা কিছু পায় না।

ভারতকে ট্রাম্পের তির অবশ্য এই প্রথম নয়। চিনের সঙ্গে পুরোদস্তুর শুল্ক যুদ্ধের মধ্যেই ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ তকমা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হুমকি দেন, আমেরিকায় তাদের কম শুল্কের একতরফা সুবিধা বরদাস্ত করবেন না। এমনকি কৃষিপণ্য থেকে হাতে বোনা তাঁতের জিনিস— গত নভেম্বরে মার্কিন বাজারে অন্তত ৫০টি ভারতীয় সামগ্রীর বিনাশুল্কে বিক্রির সুবিধাও ফিরিয়ে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এ বার নতুন আইনের সাহায্যে চড়া শুল্ক বসানো সব দেশকেই আলোচনার টেবিলে টেনে আনার প্রক্রিয়া শুরু হল বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যার অন্যতম ভারত।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে ই-কমার্স সংস্থাগুলির জন্য নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। যার জেরে অংশীদারি থাকা কোনও সংস্থার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না তারা। এমনকি একমাত্র তাদের সাইটে নির্দিষ্ট সংস্থার পণ্য বিক্রির জন্যও চুক্তি করা যাবে না। এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাবে ওয়ালমার্ট (গত বছরই ফ্লিপকার্টের ৭৭% কিনেছে যারা), অ্যামাজনের মতো মার্কিন সংস্থাই। এ মাসের শুরুতেই সংস্থাগুলির স্বার্থ রক্ষার জন্য ভারতকে আর্জি জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতি দেয়নি ভারত। বরং অনেকের মতে, আসন্ন ভোটের আগে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের মন জয়ই এখন মোদী সরকারের লক্ষ্য। এই অবস্থায় ট্রাম্পের হুইস্কিকে নিশানা করা দু’দেশের মধ্যে চাপান-উতোর আরও বাড়াতে পারে বলে তাদের মত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন