জেনারেল মোটরস (জিএম) ১৪,৮০০ কর্মী ছাঁটার কথা জানাতেই তোপ দেগেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গাড়ি বহুজাতিকটির এই পদক্ষেপের সবচেয়ে বেশি প্রভাব তাঁর দেশের ওহিয়ো, মিশিগান, মেরিল্যান্ডে পড়বে জেনে জারি করেছেন ফরমান— সিদ্ধান্ত ফের পর্যালোচনা করুক জিএম। বন্ধ করুক চিনে গাড়ি তৈরি। বরং নতুন কারখানা খুলুক ওহিয়োতে।
পাশাপাশি বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গে ফের বিঁধেছেন বেজিংকে। বেজিংকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে এ বারের আলোচনাও যদি ব্যর্থ হয়, তা হলে চিনা পণ্যে আমদানি শুল্ক এখনকার ১০% থেকে বাড়িয়ে ২৫% করতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে সে দেশ থেকে আমেরিকায় ঢোকা সব জিনিসকেই আনতে পারেন করের আওতায়। এমনকি সেখান থেকে আসা মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপলের আই-ফোন, ল্যাপটপকেও।
চলতি সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের। আশা, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কথাবার্তা আমেরিকার জন্য ফলপ্রসু না হলে বা চুক্তি করা না গেলে যে ভাবে চিনের উপর বাড়তি শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প, তাতে কথা শুরুর আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
এ দিকে, খরচ কমাতে ওহিয়ো-সহ উত্তর আমেরিকার পাঁচ কারখানাকে বসিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জিএম। এ জন্য আমেরিকা, কানাডায় কর্মী ছাঁটবে তারা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের খবর, এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জিএমের সিইও মেরি বারাকে বলেছেন, সংস্থাটি বরং চিনে গাড়ি তৈরি বন্ধ করে ওহিয়োতে নতুন একটি খুলুক। ট্রাম্পের দাবি, ‘‘এ নিয়ে সংস্থার উপর প্রবল চাপ দিচ্ছি। আমার মনে হয় দ্রুত তারা সেখানে অন্য কিছু করবে।’’