বৃদ্ধিকে টেনে তোলার জন্য কৃষিকে আরও লাভজনক করতে কেন্দ্র দায়বদ্ধ। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ফের এ কথা জানিয়ে বললেন, ‘‘কৃষকদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। কারণ সার্বিক ভাবে আর্থিক বৃদ্ধি তাঁদের উপরই নির্ভরশীল।’’
শনিবার নাবার্ডের এক অনুষ্ঠানে জেটলি জানান, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্র নিয়েছে, তার উদ্দেশ্য কৃষি থেকে আরও মুনাফার পথ তৈরি করা। সারা বিশ্বেই কৃষকদের পেশায় ঝুঁকি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নত দুনিয়ার বেশ কিছু দেশে বহাল রয়েছে চড়া ভর্তুকি, যাতে সরাসরি কৃষকদের হাতে বাড়তি আয় জোগানো যায়। যে-সব দেশের পক্ষে সেই দায় নেওয়া সম্ভব নয়, তাদের সরকারকে সেই কারণেই কৃষি-আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’’
কৃষকদের স্বার্থে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নত করতে কেন্দ্র যে-সব ব্যবস্থা নিয়েছে, এ প্রসঙ্গে সেগুলির উল্লেখ করেন জেটলি। যেমন: রাস্তা তৈরি, সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, সেচ ব্যবস্থা উন্নত করা ও আবাসন তৈরি। আর্থিক পরিষেবা সচিব রাজীব কুমার জানান, কৃষকদের সহজে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। নাবার্ডের চেয়ারম্যান এইচ কে ভানওয়ালা বলেন, কৃষকদের আয় আরও বাড়ানোর পথ তৈরি হলে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার উপর তাঁদের নির্ভরশীলতা কমবে।