প্রতীকী ছবি।
শিল্প হোক, কিন্তু পরিবেশকে রক্ষা করে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুনিয়া জুড়ে লক্ষ্য এখন এটাই। পরিবেশ বান্ধব শিল্প-পার্ক পশ্চিমবঙ্গে কী ভাবে, কেমন চেহারায় তৈরি হতে পারে, সে ব্যাপারে বিশদ পরিকল্পনা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাবাকারে দিতে চলেছে বণিকসভা সিআইআই।
তাদের দাবি, এ ধরনের পার্কে এক দিকে পরিবেশ বান্ধব নানা রকম সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কারখানা তৈরি হবে। সে সব শিল্পোৎপাদনে ব্যবহার করলে ন্যূনতম চাপ পড়বে পরিবেশের উপর। অন্য দিকে, যে-সব শিল্প পার্ক রাজ্যে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে রয়েছে, সেগুলিকেও পরিবেশ বান্ধব করে তোলা হবে। সেখানে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও ব্যবহার, সৌর শক্তিকে কাজে লাগানো, বিদ্যুৎ যথাসম্ভব কম ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। কারখানার বাড়ি এমন ভাবে তৈরি হবে, যাতে তা কম গরম হয়।
বুধবার সিআইআইয়ের ‘গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’ শীর্ষক সভায় রাজ্যে পরিবেশ বান্ধব শিল্প পার্কের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠে এসেছে। ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের শিল্প বিকাশ সংস্থা বা ইউনিডো-র প্রতিনিধি রেনে ফন বার্কেল বলেন, ‘‘শিল্পোৎপাদনে পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নিলে অনেকে ভাবেন, লাভ কম হবে। হয় উল্টোটা।’’ একাংশের অভিযোগ, একটি শিল্পের বর্জ্য যে অন্যটির কাঁচামাল হতে পারে, সে ধারণাও অনেকের নেই। তবে রাজ্যের পরিবেশ সচিব অর্ণব রায় জানান, ‘‘সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ফ্লাই অ্যাশ কাঁচামাল হিসেবে নিচ্ছে কাছের সিমেন্ট কারখানা। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বর্জ্যও যাচ্ছে সিমেন্ট সংস্থায়।’’