—প্রতীকী ছবি।
এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজ়েশন বা ইপিএফওর গ্রাহকদের জন্য ফের সুখবর। পরিষেবাকে আরও সহজ করতে প্রভিডেন্ট ফান্ডে পাঁচটি বদল করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর জেরে উপকৃত হবেন বেসরকারি সংস্থার সাত কোটির বেশি কর্মী। চলতি বছর থেকেই সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনের সুবিধা মিলছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
ইপিএফওর গ্রাহকদের মাঝেমধ্যেই প্রোফাইল আপডেট করতে হয়। আগে সেই প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ জটিল। বর্তমানে সেটি অনেক বেশি সহজ করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর জন্য ইপিএফও গ্রাহকদের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরকে (ইউএএন) আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করতে বলা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে ঘরে বসেই তাঁরা ইপিএফওর পোর্টালে ঢুকে নাম, জন্মতারিখ, মা-বাবার নাম, বৈবাহিক অবস্থা, কর্মজীবন শুরু করার তারিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি বদল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, যে সমস্ত গ্রাহকদের ইউএএন নম্বর ২০১৭ সালের ১ অক্টোবরের আগে তৈরি হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। ইপিএফওর পোর্টালে ঢুকে প্রোফাইল আপডেট করতে নিয়োগকারী সংস্থার অনুমোদন নিতে হবে তাঁদের।
বেসরকারি কর্মীরা অনেক সময়েই উচ্চ বেতন বা পদের জন্য চাকরি বদল করে থাকেন। এই পরিবর্তনের সময়ে প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রান্সফার করতে হয়। এত দিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ জটিল। নিয়োগকারী সংস্থার অনুমোদন ছাড়া তা করতে পারতেন না গ্রাহক। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে সেখানে বড় বদল এনেছে ইপিএফও।
নতুন নিয়মে প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য নিয়োগকারী সংস্থার আর অনুমোদনের কোনও প্রয়োজন নেই। গ্রাহক সরাসরি ইপিএফওর পোর্টালে ঢুকে এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তিনি সেটা করলেই পিএফের টাকা নতুন অ্যাকাউন্টে দ্রুত এবং সহজে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
গত ১৬ জানুয়ারি গ্রাহকদের যৌথ ঘোষণার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল করে ইপিএফও। নতুন নিয়মে ইউএএন আধারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে অনলাইনেই এই আবেদন করতে পারবেন তিনি। কিন্তু যদি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ইউএএন না থাকে বা সেটির আধার লিঙ্ক না হয় এবং তিনি মারা যান, তা হলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ভাবে দফতরে হাজির হয়ে ফর্ম জমা করতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে বাধ্যতামূলক রেখেছে মোদী সরকার।
এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় পেনশন পেমেন্ট সিস্টেম (সেন্ট্রালাইজ় পেনশন পেমেন্ট সিস্টেম বা সিপিপিএস) চালু করেছে ইপিএফও। ফলে যে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি পেনশন তুলতে পারবেন গ্রাহক। আগে এর জন্য পেনশন পেমেন্ট অর্ডার বা পিপিওর প্রয়োজন হত। সেই প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া পেনশনভোগীদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র। এ ছাড়া যে সব প্রতিষ্ঠান ইপিএফওর আওতাভুক্ত নয় এবং নিজস্ব ব্যক্তিগত ট্রাস্ট রয়েছে, তাদের ওই ট্রাস্টের নিয়ম মেনে গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করতে বলেছে সরকার।