এ বার খরচ বাড়ার ইঙ্গিত মিলল গোষ্ঠীগত স্বাস্থ্যবিমায়। কারণ মোট ১০টিরও বেশি ক্ষেত্রে বিমায় প্রিমিয়ামের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জীবনবিমা বাদে অন্য বিমা সংস্থাগুলি। যার আওতায় গ্রুপ হেল্থ ইনশিওরেন্স ছাড়াও রয়েছে ওষুধ, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট ইত্যাদি শিল্প।
আগামী আর্থিক বছর থেকেই জীবন বাদে অন্য বিমায় প্রিমিয়াম বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাগুলি। যার কারণ হিসেবে বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে লাগাতার লোকসান গুনতে বাধ্য হওয়ার যুক্তি তুলে ধরেছে তারা। দেখিয়েছে, কমতে থাকা সুদের ধাক্কায় বিনিয়োগ থেকে হওয়া আয় অনেকখানি কমে যাওয়ার মতো কয়েকটি কারণও।
তবে শুধু সংস্থাগুলি নয়, আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে বিমার খরচ যে বাড়তে চলেছে, সেই ইঙ্গিত বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআইয়েরও। বিশেষ করে তৃতীয় পক্ষ গাড়ি বিমার প্রিমিয়াম ও গোষ্ঠীগত স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে। দেশীয় সাধারণ বিমা বাজারে বেশির ভাগ প্রকল্পের নবীকরণও হবে ওই সময়েই।
ন্যাশনাল ইনশিওরেন্সের সিএমডি সনৎ কুমার বলেন, ‘‘বাজার এখন এতটাই প্রতিযোগিতার মধ্যে দাঁড়িয়ে, যেখানে প্রিমিয়াম বাড়ানোর সুযোগ খুবই কম। তা সত্ত্বেও আমরা জেনারেল ইনশিওরেন্স কোম্পানির সঙ্গে লোকসানে চলা প্রায় ১০টি ক্ষেত্রে তা বাড়ানো নিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছি।’’ দক্ষতা বাড়ানো ও খরচ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয় মাথায় রেখে প্রিমিয়াম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে নিউ ইন্ডিয়া, এসবিআই জেনারেলের মতো সাধারণ বিমা সংস্থাও।