lithium cell manufacturing plant

নয়া কারখানা গড়তে ৬০০০ কোটি লগ্নি করবে এক্সাইড

লিথিয়াম আয়ন সেল’ তৈরির কারখানা গড়তে ঝাঁপাল কলকাতার এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ়।সংস্থার পরিকল্পনা, আগামী আট-দশ বছরে দুই পর্যায়ে বেঙ্গালুরুতে সেই কারখানা তৈরি হবে। লগ্নি ৬০০০ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৩৩
Share:

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ‘প্যাক’ ও ‘মডিউল’ তৈরির জন্য সুইৎজ়ারল্যান্ডের এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গুজরাতে কারখানা গড়েছে এক্সাইড। ফাইল ছবি

ভবিষ্যতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার বৃদ্ধির সম্ভাবনায় চোখ রেখে সেগুলিতে ব্যবহারের ব্যাটারির প্রধান উপাদান ‘লিথিয়াম আয়ন সেল’ তৈরির কারখানা গড়তে ঝাঁপাল কলকাতার এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ়। সংস্থার পরিকল্পনা, আগামী আট-দশ বছরে দুই পর্যায়ে বেঙ্গালুরুতে সেই কারখানা তৈরি হবে। লগ্নি ৬০০০ কোটি টাকা। প্রথম পর্যায় ২০২৪ সালে চালুর সম্ভাবনা। কারখানায় কাজ শুরুর পরে ১০-১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের আশা এক্সাইডের।

Advertisement

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ‘প্যাক’ ও ‘মডিউল’ তৈরির জন্য সুইৎজ়ারল্যান্ডের এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গুজরাতে কারখানা গড়েছে এক্সাইড। তার মূল উপাদান ‘লিথিয়াম আয়ন সেল’ তৈরির বিষয়ে গত ডিসেম্বরে সায় দেয় তাদের পর্ষদ। প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য চিনের এসভিওএলটি এনার্জি টেকনোলজির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি গাঁটছড়া বেঁধেছে সংস্থা। বৃহস্পতিবার এক্সাইডের এমডি-সিইও সুবীর চক্রবর্তী জানান, ছয় গিগাওয়াট করে দুই পর্যায়ে কারাখানাটি তৈরি হবে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের নিকটবর্তী শিল্পতালুকে। ৮০ একর জমিতে ১২ গিগাওয়াটের সেল কারখানাটি গড়তে ৬০০০ কোটি টাকা লগ্নি হবে। সেখানে তৈরি হবে ব্যাটারির ‘মডিউল’ এবং ‘প্যাক’-ও। ৩৮০০-৪০০০ কোটিতে প্রথম পর্যায় সম্পূর্ণ হবে ২৭-৩০ মাসের মধ্যে। তিনি জানান, সম্ভবত এক্সাইডই প্রথম সংস্থা, যারা দেশে লিথিয়াম আয়ন সেলের কারখানা তৈরির কাজ শুরু করছে।

কর্নাটক কেন? সুবীরবাব জানান, বিমানবন্দরের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক এবং বন্দরের মতো পরিকাঠামোও সেখানে কাছাকাছি। কর্মীমহলের জন্য স্থানীয় সামাজিক পরিকাঠামো খুব ভাল। আর কর্নাটক সরকার আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা দিয়েছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক কালে আগুন লাগার কিছু ঘটনায় বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং তার ব্যাটারি নিয়ে সংশয় ছড়িয়েছে দেশে। সুবীরবাবু জানান, ‘‘বিষয়টি নতুন। অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিপুল ব্যবহার রয়েছে। এ জন্য যেমন লগ্নি করতে হবে, তেমনই সচেতনও থাকতে হবে। ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশের জোগান বা মজুত করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement